গোপাল সিং, খোয়াই, ২০ জানুয়ারী ৷৷ খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক বাজার। বাজার এলাকায় একটি দোকান ভিটি পাওয়া আর ভগবান পাওয়া একই কথা। যেখানে হাত হিসাবে জায়গা বিক্রি করা হয়। বেসরকারীভাবে ৭০-৮- লক্ষ টাকা হাত। ভাড়ার জন্য দোকান ভিটি নিতে চাইলে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা অগ্রীম এবং ভাড়া প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা। সেই চিন্তা করেই রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী মহাশয় সরকারীভাবে জায়গা ক্রয় করেন যাতে গরীব-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ ব্যবসার জন্য একটু জায়গা পায়। সাধারনভাবে ব্যবসা করে জীবনধারন করতে পারে এবং এই কাজে বেশীরভাগ অবদান ছিল সুভাষপার্ক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির। যার কোন চিহ্ন বর্তমানে নেই। এই বাজারে প্রায় ৯০ ভাগ স্টল দখল করে আছেন বিত্তশালীরা। কেউ পেনশনার বা কেউ বড় ব্যবসায়ী। আবার কেউ কেউ প্রভাবশালী। আশ্চর্য্যের বিষয় এক একজন দোকানী ২-৩টি করে দোকান ঘর দখল করে রেখেছেন নামে-বেনামে। আবার গোদাম ঘরও বানিয়ে রেখেছেন। আবার চাকুরীজীবিও দোকান ঘর দখলে রেখেছেন এবং বহু দোকান বছরের পর বছর ধরে বন্ধ। অথচ রাজ্যে যখন বেকার সমস্যা অনেক, বেকারদের ইচ্ছা যদি বাজারের ভেতরে সরকারী সুবিধায় দোকান ভিটি পাওয়া যায় তবে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের পরিবারের লোক ব্যবসা করে পরিবার রক্ষা করা যায়। কিন্তু দেখা যায় একটি পরিবারের দখলেই রয়েছে ২-৩ খানা দোকান ভিটি। প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তী কিন্তু এমনটা চাননি। উনি প্রায় সময় বলতেন, কেউ খাবে, কেউ খাবে না, তা হবে না। কিন্তু বর্তমানে হাতেগুনা কয়েকজনের জন্য প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তীর স্বপ্ন আজ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। অথচ দায়িত্বে থাকা পুর পরিষদ জানে না এমনটা নয়। তারপরও কেন পুর পরিষদ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায়, প্রশ্ন জনমনে। জনগনের দাবি পুর পরিষদ সার্ভে করে যারা প্রতিনিয়ত দোকান খোলে না এবং এক পরিবারে ২-৩ খানা স্টল নামে-বেনামে রয়েছে ঐসব তদন্ত করে গরীব বেকারদের স্টলগুলি বিতরন করে প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তীর স্বপ্ন সফল করা। গরীব বেকারদের সঠিক অভিযোগ থেকে পুর পরিষদকে দায়মুক্ত হওয়ার দাবী খোয়াইয়ের গরীব বেকারদের।