ধারাবাহিক সংবাদের ফলে নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির উপর মাথা তুলে দাঁড়ালো এলইডি লাইট স্ট্যান্ড

khগোপাল সিং, খোয়াই, ২৩ জানুয়ারী ৷৷ ধারাবহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ। শেষবার ১৯শে জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয় ছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির পাশাপাশি গোটা খোয়াই শহরজুরে মনীষীদের আবক্ষ মূর্ত্তিগুলি রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। প্রতিনিয়ত সংবাদের ফলেই মনীষীদের মূর্ত্তিগুলি সোমবার রাতের অন্ধকারে উজ্জ্বল হয়ে উঠার পথে। যদিও অত্যাধুনিক এলইডি লাইটের নীচে উদ্ভাসিত করার জন্য লাইট লাগানো হলেও তা ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় কার্য্য সিদ্ধি হলো না। এলইডি লাইট লাগানোর পরও নেতাজীর মূর্ত্তি থাকছে অন্ধাকারাচ্ছন্ন। লাইটগুলি বিজ্ঞানসম্মতভাবে বসানো হয়নি বলে জনগন অভিযোগ করছেন। বিষয়টি খোয়াই পুর পরিষদের গোচরেও এসেছে। অন্যান্য বছর নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে খোয়াই সুভাষপার্ক মুল সড়কের পাশে অবস্থিত নেতাজীর মূর্ত্তি সংলগ্ন স্থানটি যানবাহন, সাইকেল-রিক্সা থেকে মুক্ত রাখা হয়। কিন্তু এবছর তাতেও যেন পুর পরিষদের উদাসীন মনোভাব লক্ষ্য করা গেল। অপরদিকে নেতাজীর জন্মবার্ষিকিতে নানান অনুষ্ঠান তো এখন বিলুপ্তির পথে। শুধু নিয়মরক্ষা করার মধ্যেই সোমবার খোয়াইতেও পালিত হল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২১তম জন্মজয়ন্তী।
১০৬ বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা আধুনিক খোয়াই শহরে এদিন নেতাজীর জন্মবার্ষিকি পালিত হল ঠিকই। খোয়াই শুধু রাজনীতির বদ্ধভূমি কিংবা সংস্কৃতির শহরই নয়, বর্তমানে পর্য্টন মানচিত্রেও খোয়াইয়ের নাম সর্বজনবিদিত। একে একে খোয়াই শহর সেজে উঠেছে। শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন মণীষী এবং মুণি-ঋষিদের আবক্ষ মূর্ত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের এই মহান মণীষীদের জীবনী প্রবীন এবং নবীন সবার মাঝেই চির অম্লান থাকবে বলেই আবক্ষ মূর্ত্তিগুলি স্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য। এই এলাকার সৃষ্টি লগ্নেই তো নেতাজীর আবক্ষ মূর্ত্তি এখানে ছিলনা ? নাম ছিলনা সুভাষপার্ক। কে এর নামাকরন করলেন ? তথ্য বলছে ৬০ এর দশকে কোন এক দিনে, কয়েকজন আড্ডা স্থলে বসেই এই এলাকার নামাকরন সুভাষ পার্ক স্থির করেছিলেন। যদিও উনারা বর্তমানে প্রয়াত হয়েছেন। তারা হলেন স্থানীয় আরতি বিড়ি ফেক্টরীর মালিক প্রয়াত নৃপেন্দ্র দাস, ব্যবসায়ী মহেন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র ঘোষ, মালু চক্রবর্তী, জিতেন সরকার, হরেন্দ্র ঘোষ, মনোরঞ্জন ঘোষ, চারু দে প্রমুখ। এরাই ৬০ এর দশকে এই এলাকার নামাকরন করেন। তারপর ১৯৬৮ সাল থেকে স্থানীয় বিবেক সংঘ ক্লাবের যুবরা মিলে নেতাজীর জন্মদিন পালন শুরু করেন। শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয়, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা অবধি চলত নানান অনুষ্ঠান। সুভাষপার্ক কালিবাড়ীও এই বিবেক সংঘ ক্লাবের সদস্যরাই স্থাপন করেন। তবে যাইহোক, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরবর্তী সময় পূর্বতন নগর পঞ্চায়েত নেতাজীর জন্মদিন পালনের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। তৈরী হয় নেতাজীর আবক্ষ মূর্ত্তি। স্থাপন করা হয় খোয়াইয়ের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্কে। সেদিনও বিরাট আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নাচ-গান, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা কি হয়নি সেদিন।
কিন্তু এত ইতিহাস সম্বলিত খোয়াইয়ের বুকে এত ঘটা করে স্থাপিত নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মুর্ত্তিটি এতদিন ছিল অবহেলিত। এই পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির পেছনেই আলো ঝিলমিল করতো, কিন্তু সুভাষপার্ক কোহিনুর মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আবক্ষ মূর্ত্তিটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে থাকতো। বর্তমানে এনিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হবার ফলে অত্যাধুনিক এলইডি লাইট নেতাজীর মূর্ত্তির উপর দাঁড় করানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও ত্রুটি ধরা পড়েছে। পুর কর্তাদের নজরে এসেছে বিষয়টি। তদারকি করা হয়েছে। এলইডি লাইটগুলি স্থাপন করা হয়েছে অবৈজ্ঞানিকভাবে। তাছাড়া খোয়াই শহর যেখানে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার উৎকৃষ্ট উদাহরন বহন করে চলছে সেখানে খোয়াইতেই মনীষীদের জন্মজয়ন্তী ঘিরে উৎসাহে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। এক সময় র্যা লী, ট্যাবলু সহ সারাদিনব্যাপী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরে উঠত এসমস্ত দিনগুলি। খোয়াইয়ের বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থাও আজ ভূমিকাহীন। নেই কোন উদ্যোগ। কিন্তু এবছরও যথারীতি নেতাজীর জন্মদিনে অনেকটাই নিয়মরক্ষার অনুষ্ঠান হল খোয়াইতে। এদিকে খোয়াই শহর এবং শহরতলীতে প্রতিটি মনীষিদের মূর্ত্তির উপর অত্যাধুনিক এলইডি লাইট বিজ্ঞানসম্মতভাবে লাগানোর দাবী জানিয়েছেন জনসাধারন।
 
ধারাবাহিক সংবাদের ফলে নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির উপর মাথা তুলে দাঁড়ালো এলইডি লাইট স্ট্যান্ড
গোপাল সিং, খোয়াই, ২৩ জানুয়ারী ৷৷ ধারাবহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ। শেষবার ১৯শে জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয় ছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির পাশাপাশি গোটা খোয়াই শহরজুরে মনীষীদের আবক্ষ মূর্ত্তিগুলি রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। প্রতিনিয়ত সংবাদের ফলেই মনীষীদের মূর্ত্তিগুলি সোমবার রাতের অন্ধকারে উজ্জ্বল হয়ে উঠার পথে। যদিও অত্যাধুনিক এলইডি লাইটের নীচে উদ্ভাসিত করার জন্য লাইট লাগানো হলেও তা ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় কার্য্য সিদ্ধি হলো না। এলইডি লাইট লাগানোর পরও নেতাজীর মূর্ত্তি থাকছে অন্ধাকারাচ্ছন্ন। লাইটগুলি বিজ্ঞানসম্মতভাবে বসানো হয়নি বলে জনগন অভিযোগ করছেন। বিষয়টি খোয়াই পুর পরিষদের গোচরেও এসেছে। অন্যান্য বছর নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে খোয়াই সুভাষপার্ক মুল সড়কের পাশে অবস্থিত নেতাজীর মূর্ত্তি সংলগ্ন স্থানটি যানবাহন, সাইকেল-রিক্সা থেকে মুক্ত রাখা হয়। কিন্তু এবছর তাতেও যেন পুর পরিষদের উদাসীন মনোভাব লক্ষ্য করা গেল। অপরদিকে নেতাজীর জন্মবার্ষিকিতে নানান অনুষ্ঠান তো এখন বিলুপ্তির পথে। শুধু নিয়মরক্ষা করার মধ্যেই সোমবার খোয়াইতেও পালিত হল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২১তম জন্মজয়ন্তী।
১০৬ বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা আধুনিক খোয়াই শহরে এদিন নেতাজীর জন্মবার্ষিকি পালিত হল ঠিকই। খোয়াই শুধু রাজনীতির বদ্ধভূমি কিংবা সংস্কৃতির শহরই নয়, বর্তমানে পর্য্টন মানচিত্রেও খোয়াইয়ের নাম সর্বজনবিদিত। একে একে খোয়াই শহর সেজে উঠেছে। শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন মণীষী এবং মুণি-ঋষিদের আবক্ষ মূর্ত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের এই মহান মণীষীদের জীবনী প্রবীন এবং নবীন সবার মাঝেই চির অম্লান থাকবে বলেই আবক্ষ মূর্ত্তিগুলি স্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য। এই এলাকার সৃষ্টি লগ্নেই তো নেতাজীর আবক্ষ মূর্ত্তি এখানে ছিলনা ? নাম ছিলনা সুভাষপার্ক। কে এর নামাকরন করলেন ? তথ্য বলছে ৬০ এর দশকে কোন এক দিনে, কয়েকজন আড্ডা স্থলে বসেই এই এলাকার নামাকরন সুভাষ পার্ক স্থির করেছিলেন। যদিও উনারা বর্তমানে প্রয়াত হয়েছেন। তারা হলেন স্থানীয় আরতি বিড়ি ফেক্টরীর মালিক প্রয়াত নৃপেন্দ্র দাস, ব্যবসায়ী মহেন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র ঘোষ, মালু চক্রবর্তী, জিতেন সরকার, হরেন্দ্র ঘোষ, মনোরঞ্জন ঘোষ, চারু দে প্রমুখ। এরাই ৬০ এর দশকে এই এলাকার নামাকরন করেন। তারপর ১৯৬৮ সাল থেকে স্থানীয় বিবেক সংঘ ক্লাবের যুবরা মিলে নেতাজীর জন্মদিন পালন শুরু করেন। শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয়, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা অবধি চলত নানান অনুষ্ঠান। সুভাষপার্ক কালিবাড়ীও এই বিবেক সংঘ ক্লাবের সদস্যরাই স্থাপন করেন। তবে যাইহোক, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরবর্তী সময় পূর্বতন নগর পঞ্চায়েত নেতাজীর জন্মদিন পালনের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। তৈরী হয় নেতাজীর আবক্ষ মূর্ত্তি। স্থাপন করা হয় খোয়াইয়ের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্কে। সেদিনও বিরাট আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নাচ-গান, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা কি হয়নি সেদিন।
কিন্তু এত ইতিহাস সম্বলিত খোয়াইয়ের বুকে এত ঘটা করে স্থাপিত নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মুর্ত্তিটি এতদিন ছিল অবহেলিত। এই পূর্ণাবয়ব মূর্ত্তির পেছনেই আলো ঝিলমিল করতো, কিন্তু সুভাষপার্ক কোহিনুর মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আবক্ষ মূর্ত্তিটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে থাকতো। বর্তমানে এনিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হবার ফলে অত্যাধুনিক এলইডি লাইট নেতাজীর মূর্ত্তির উপর দাঁড় করানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও ত্রুটি ধরা পড়েছে। পুর কর্তাদের নজরে এসেছে বিষয়টি। তদারকি করা হয়েছে। এলইডি লাইটগুলি স্থাপন করা হয়েছে অবৈজ্ঞানিকভাবে। তাছাড়া খোয়াই শহর যেখানে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার উৎকৃষ্ট উদাহরন বহন করে চলছে সেখানে খোয়াইতেই মনীষীদের জন্মজয়ন্তী ঘিরে উৎসাহে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। এক সময় র্যা লী, ট্যাবলু সহ সারাদিনব্যাপী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরে উঠত এসমস্ত দিনগুলি। খোয়াইয়ের বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থাও আজ ভূমিকাহীন। নেই কোন উদ্যোগ। কিন্তু এবছরও যথারীতি নেতাজীর জন্মদিনে অনেকটাই নিয়মরক্ষার অনুষ্ঠান হল খোয়াইতে। এদিকে খোয়াই শহর এবং শহরতলীতে প্রতিটি মনীষিদের মূর্ত্তির উপর অত্যাধুনিক এলইডি লাইট বিজ্ঞানসম্মতভাবে লাগানোর দাবী জানিয়েছেন জনসাধারন।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*