গোপাল সিং, খোয়াই, ০৬ ফেব্রুয়ারী ৷৷ খোয়াই সহ রাজ্যের সমগ্র এলাকায় চলছে জনগনের মৌলিক অধিকার খর্ব করার প্রচেষ্টা। যারা এই অপচেষ্টায় মগ্ন তারা কিন্তু হাতেগুনা কয়েকজন মাত্র। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে রাজ্যবাসীর সবকিছুতেই ওনাদের দূষননীতি প্রয়োগ করা। এমনটা নয় যে বিষয়টি প্রশাসনের জানা নেই। জনগনের আলোচনার মধ্যেও তাই উঠে এসেছে স্বাস্থ্য পরিসেবার কথা। খোয়াইতে স্বাস্থ্য পরিসেবায় চলছে ব্যাপক অরাজকতা। এই কলূষিত স্বাস্থ্য পরিসেবাকে উন্নত করার জন্য দায়ভার ড্রাগ কন্ট্রোলারদের।
ওষুধের নামে জনগনের জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত ছিনিমিনি খেলা চলছে। তার মধ্যেও ভাল অফিসার এবং সদ ইচ্ছা দুটোই রয়েছে। কিন্তু অশুভ শক্তির কাছে সবসময়ই অল্প সময়ের জন্য হলেও উনারা পরাজিত হন। তার মধ্যেও খোয়াইয়ের বর্তমান ড্রাগ ইন্সপেক্টর একটি ভাল উদ্যোগ নেন। দেখা যায় পিডি কোম্পানী নামে প্রচলিত ওষুধ প্রায় ৭০টি ঔষধের দোকানে বিক্রি করা হয়। যা রোগী ব্যবহার করলে কোন প্রকার কাজ করবেনা। যদিও ঔষধের দোকানীরা ঐ বিশেষ কোম্পানীর ওষুধ বিক্রি করতে অনেকটা বাধ্য। কারন ডাক্তার বাবুরা পিডি কোম্পানীর ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। শোনা যায় প্রায় ৪০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয় পিডি কোম্পানীর তরফ থেকে। বর্তমানে খোয়াই ড্রাগ ইন্সপেক্টর মানবিক আবেদন রাখেন ওষুধ ব্যবসায়ীদের কাছে। উনি বলেন, ‘পিডি কোম্পানীর ওষুধ এবং এস মার্কেটের ওষুধ ডাক্তার বাবু লিখে দিলে আপনাদের পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ্য হয় আপনার বা আপনাদের পরিবারকে তা খাওয়াবেন কি না?’ উত্তর আসে ‘না’। ড্রাগ ইন্সপেক্টর এর প্রশ্ন, তবে গরীব জনগনকে সেগুলি কেন খাওয়াবেন? তবে এই আবেদনে সারা দিয়ে খোয়াই ঔষধের ব্যবসায়ীরা বর্তমানে পিডি কোম্পানী এবং এস মার্কেটের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দেন। কিছু দোকানে যেহেতু ৭০ শতাংশ পিডি কোম্পানী এবং এস মার্কেটের ওষুধ মজুত রয়েছে সে কারনে দোকানীরা সেগুলি বাক্স বন্দি করে সরিয়ে দেন। যেহেতু ডাক্তার বাবুরা প্রেসক্রিপশনে লিখেন অথচ দোকানীরা তা বিক্রি করেন না, এতে টনক নড়ে কালো বাজারীদের। যারা জনগনের এমনকি শিশুর এবং সবার জীবন নিয়ে খেলেন। উচ্চ প্রশাসনিক স্তরে হাতেগুনা কয়েকজন সমাজের কলুসিতদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় এবং তারা ওষুধের দোকানগুলিকে চাপ দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। আগরতলায় চলছে মাস্টার প্ল্যান খোয়াইয়ের ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে কিভাবে জব্দ করা যায়। ঔষধের দোকানীরা পিডি এবং এস মার্কেটের ওষুধ না বেচার পক্ষে। কিন্তু যেভাবে জনগনের শত্রুরা একত্রিত হচ্ছে উনারা মনে করেন উপর মহল এর চাপে আবার বিক্রি করতে হতে পারে ওষুধগুলো। যদিও জনগন অনেকটাই সচেতন হচ্ছে। খোয়াই জেলায় ড্রাগ ইন্সপেক্টর চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে জনগনের কাছে সঠিক বার্তা পৌছায়। এখন দেখার ভাল বনাম খারাপের ঠান্ডা লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসেন। জনগন সেদিকেই তাকিয়ে। তবে ওষুধগুলো ভাল না খারাপ সে বিষয়ে জনগন কিছুআ জানেন না। সবটাই ড্রাগ কন্ট্রোল এর ব্যাপার। আপাতত তালিকার ওষুধগুলো খোয়াইতে বিক্রি বন্ধ।