গোপাল সিং, খোয়াই, ০৮ ফেব্রুয়ারী ৷৷ রাজধানীতে যেখানে ব্যাটারিচালিত যান চালকদের আক্রান্ত হবার ঘটনা সামনে এসেছে সেখানে খোয়াইতে ঠিক উল্টো গঙ্গা বইছে। খোয়াই শহরের বেশ কিছু টমটম চালকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যদিও লজ্জা ও অন্যান্য কারনে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই জনসাধারনের। কিন্তু মঙ্গলবার সিঙ্গিছড়া এলাকার এক বনেদী পরিবার এবং প্রভাবশালী হওয়াতে প্রতিবাদ করার সাহাস দেখায় একটি মেয়ে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় টমটম চালক ঐ মেয়েটিকে নো-এন্ট্রির অজুহাত দেখিয়ে নানা এলাকায় ঘুরাফেরা করতে শুরু করে। বুদ্ধিমতি মেয়েটি টমটম চালকের এই অভিসন্ধি আঁচ করতে পারে যে টমটম চালক তাকে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মিছিমিছি ঘুরাচ্ছে। তখন সে চালকের কথায় সায় দিয়ে লালছড়া দূর্গানগর এলাকায় গিয়ে সুযোগ বুঝে টমটম থেকে নেমে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে তার এলাকায় গিয়ে বিষয়টি জানায়। এলাকার অভিভাবকরা ছুটে আসে সুভাষপার্কে। প্রায় প্রত্যেকটি টমটমকে সনাক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন টমটমেরই কোন নম্বর নেই বা সনাক্তকরনের কোন সুবিধা নেই। কারন রং এবং মডেল সবগুলিরই প্রায় একইরকম। রাতে শীতবস্ত্র বা মাফলার-টুপি জড়িয়ে থাকেন চালকরা। তাই সনাক্ত করা যায়নি। গতকালের পর বুধবার দিনের বেলাও টমটমের তল্লাশী চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ মিলেনি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন খোয়াইবাসীর দাবি, যেহেতু উনারা শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত সেই কারনে টমটমের একটি সিরিয়াল নম্বর যেন দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক টমটমের সামনে ও পেছনে বড় করে নম্বর লাগানো হয়। সেই সাথে চালকের আইডি কার্ড এর ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের কিছু করার নেই। তাই শ্রমিক সংগঠনকেই দায়ভার নিতে হবে। না হলে আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খোয়াইবাসী। বিশেষ করে অভিভাবকরা। যাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক রাত অবধি প্রাইভেট টিউটরের বাড়ীতে কাটায় এবং বাড়ী ফিরতে একমাত্র ভরসা টমটমগুলিই। যেগুলি যেকোন সময় যেকোন অলিগলি-রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এতে সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। তাই জনগনের দিকে তাকিয়ে শ্রমিক সংগঠন যেন এই উদ্যোগটি অচিরেই গ্রহন করে সেই দাবিই এখন খোয়াইবাসী জানাচ্ছেন।