ল্যাবেলবিহীন কৃমিনাশক ট্যাবলেট সরবরাহ স্কুলে স্কুলে

krimi.jpg1গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ ফেব্রুয়ারী ৷৷ ১ থেকে ১৯ বছরের ছেলে-মেয়েদের ১০০ শতাংশ কৃমি করতে ১০ই ফেব্রুয়ারী গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও জাতীয় কৃমি নাশক দিবস পালিত হল। সারা পৃথিবীতে যেখানে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত, এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কৃমি নাশক দিবস পালন খুবই তাৎপর্য্যমন্ডিত উদ্যোগ। কৃমি এক ধরণের রোগ। এর ফলে অ্যামিনিয়া, খিদে মন্দা, জ্বর, অপুষ্টি, মানসিক যন্ত্রনা ইত্যাদি হয়। মাটির মাধ্যমে মানুষে সংক্রামিত কৃমি তিন ধরনের। এগুলি হল গোলকৃমি, হুক কৃমি ও চাবুক কৃমি। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন জনসচেতনতা। জাতীয় কৃমিনাশক দিবস উপলক্ষে মানব শরীর থেকে কৃমিকে মুক্ত করতে দেশ জুড়ে কৃমিনাশক দিবস পালন হয শুক্রবার। সারা রাজ্যে প্রায় ১২ লক্ষ শিশু-কিশোরদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। জাতীয় কৃমিনাশক দিবসকে কেন্দ্র করে খোয়াই জেলাতেও প্রায় ১ লক্ষ ৩৫২ জন শিশু কিশোরকে এদিন কৃমিনাশশক ঔষধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে এক বছর থেকে ১৯ বছরের শিশু কিশোরকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। জাতীয় কৃমি নাশক দিবসে খোয়াই জেলার মুল অনুষ্ঠানটি হয় গণকী স্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে। ১০ই ফেব্রুয়ারী’র সকালে আনন্দমার্গ স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা সভাধিপতি সাইনি সরকার, জেলা শাসক ও সমাহর্তা অপূর্ব রায়, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ড. দ্বীপ দেববর্মা, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. পি.কে. মজুমদার সহ অন্যান্যরা। এদিন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১টি করে কৃমিনাশক টেবলেট খাওয়ানো হয়। এছাড়া জাতীয় কৃমিনাশক দিবসে খোয়াই জেলার বিভিন্ন স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের সেন্টারগুলিতে ১-১৯ বছর পর্যন্ত প্রতিটি ছেলে-মেয়েদের এই কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। তবে এদিন যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হল সেই ওষুধ কোন কোম্পানি দ্বারা তৈরী প্যাকেট গুলিতে তার কোন নাম বা লেবেল ছিল না। মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখা ছিল না। শুধুমাত্র প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে স্কুলে স্কুলে ট্যাবলেটগুলি সাপ্লাই দেওয়া হয়।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*