গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ ফেব্রুয়ারী ৷৷ খোয়াইয়ের উত্তর দূর্গানগরে লালন মঞ্চে শুরু হল ত্রয়োদশবর্ষ জারিসারি উৎসব ও মিলন মেলা। শুক্রবার বিকেলে লোকসংস্কৃতি প্রিয় স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ ও তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ত্রয়োদশ বর্ষ জারিসারি উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রি ভানুলাল সাহা। এদিন প্রথমেই মেলা প্রাঙ্গনে বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্যসচেতক প্রয়াত সমীর দেবসরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী আলেছা খাতুন ও অর্চ্চনা দত্তের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রি সহ উপস্থিত অতিথিগন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দত্ত, বিধায়ক পদ্মকুমার দেববর্মা, পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শুক্লা সেনগুপ্তা, খোয়াই জিলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা মো: মোসলেম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। উত্তর দূর্গানগর স্থিত পূর্ণিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তিন দিনব্যাপী চলবে জারিসারি মিলন মেলা উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলা প্রাঙ্গন জমজমাট। রাজ্যের শিল্পীদের পাশাপাশি শিলচর, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পীরা তিন দিনব্যাপী জারিসারি মিলন মেলার মঞ্চ মাতাবেন।
এদিনকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রি ভানুলাল সাহা বলেন, আমাদের প্রচলিত সমাজ জীবনের অঙ্গ হিসাবে লোক-সংস্কৃতি শত-সহস্র বছর ধরে আমরা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। ভৌগোলিক এলাকা এবং ভাষা-সংষ্কৃতির প্রশ্নে আলাদা আলাদা এই লোক-সংষ্কৃতি রয়েছে। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে লোক-সংস্কৃতি উৎসবের আয়োজন করেছে। গ্রামে বা ভিলেজ এলাকার মানুষ এখনও লোক-সংস্কৃতির চর্চা করেন। অপরদিকে ত্রয়োদশ বর্ষ জারিসারি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখিতে গিয়ে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে সরকারী উদ্যোগে এ রাজ্যের উপজাতি সংস্কৃতি এবং হিন্দু-বাঙালি, মুসলিম-বাঙালি, মণিপুরী, সাঁওতাল ও উরাং ও মুন্ডা সহ অন্যান্যদের সংস্কৃতিকে আজ বিশ্বের দরবারে তুলে নিয়েছেন, এমনটাই বললেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দত্ত। অন্যদিকে যেখানে বিধায়ক পদ্মকুমার দেববর্মা বলেন, মুসলিম-হিন্দু, বাঙালি, উপজাতি সবার মধ্যে নিবিঢ় সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে এধরনের উৎসব ও মেলা খুবই প্রয়োজন সেখানে খোয়াই জিলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য বলেন, যারা গরীব মানুষের উন্নয়ন চান না, স্বার্থ রক্ষা করতে চান না, তাদের এই চক্রান্তকে ব্যার্থ করতে হবে। এর জন্য আমাদের সাংস্কৃতিক ও খেলাধূলার অঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।