দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারী ৷৷ প্রতিবছর আগরতলার উমাকান্ত একাডেমী প্রাঙ্গনে বসন্তের বইমেলা মানুষের পদচারনায় নতুন করে জেগে উঠে – ব্যতিক্রম নেই এবছরের আয়োজনে। সাহিত্য প্রেমীদের ব্যস্ততার বহর বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিন্তু তারপরেও বলা যায় বইমেলার আকর্ষণে আট থেকে আশি বইয়ের বিপনীতে দাঁড়িয়ে বই সংগ্রহ করছে এই দৃশ্য বইমেলার আয়োজনের সার্থকতার উদাহরন। প্রকাশক, গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিরা যখন বইমেলা নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করছেন – ছন্দপতন বাদামওয়ালা বলছে ‘স্যার বাদাম দিমু?’ তাত্ত্বিক আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে মুখে চারখানা বাদামের স্বাদের ব্যাখ্যা তাত্ত্বিকদের কাছে অন্যরকম। বইমেলা উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রত্যহ নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা একদিকে অন্যদিকে বইয়ের খোঁজে দ্রুতলয়ে বইপোকারা ছুটছেন এই স্টল থেকে সেই স্টলে। বন্ধ ঘরে মাউস ছেড়ে বইমেলায় ক্ষুদে প্রজন্মের ভীড়ের একটা বার্তাই দিচ্ছে একদিকে বিজ্ঞান অন্যদিকে বই – এমুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের চিন্তন, মননের খোরাক যোগাচ্ছে। ৩৪-র বইমেলা – মানুষের ভীড়ে বিভূষিত রুপে বিকশিত।