জাতীয় ডেস্ক ৷৷ দেশের দীর্ঘতম চেনানি-নাসরি সুড়ঙ্গ গোটা এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথ। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিশ্বে এর স্থান ষষ্ঠ। সুড়ঙ্গটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সুড়ঙ্গ চেনানি থেকে ৪১ কিলোমিটার দূরের নাসরিকে ৩০.১ কিলোমিটার কাছে নিয়ে এসেছে। এখন এই দুই এলাকার দূরত্ব মাত্র ১০.৯ কিলোমিটার। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতেও এখন আগের থেকে ঘণ্টাদুয়েক সময় কম লাগবে। এটিই ভারতের প্রথম সুড়ঙ্গ যাতে তির্যক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা বা ট্রান্সভার্স ভেন্টিলেশন সিস্টেম রয়েছে। এর ফলে যাত্রীরা ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাওয়ার সময় বাইরের টাটকা বাতাস পাবেন, কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা থাকবে আওতার মধ্যে, গাড়ি দূষণও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সুড়ঙ্গ তৈরির দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবে এমন একটি উন্নত কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। প্রাকৃতিক দিক থেকে দুর্গম এই এলাকায় এত দীর্ঘ দূরত্ব সংযুক্ত করা এমন একটি উন্নত প্রযুক্তির সুড়ঙ্গ ভারতে এই প্রথম। ১,৫০০-এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার, ভূবিজ্ঞানী, দক্ষ কর্মী ও শ্রমিক হাতে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছেন এই সুড়ঙ্গ। কন্ট্রোল রুমে রয়েছে ১২৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যা যান চলাচলে নজর রাখতে সাহায্য করবে। কেউ যদি ট্রাফিক আইন ভাঙে, তবে সুড়ঙ্গের বাইরে মোতায়েন পুলিশকর্মীদেরও তখনই সতর্ক করা যাবে। কোনও গাড়ি সুড়ঙ্গের মধ্যে আচমকা খারাপ হয়ে গেলে সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাও রয়েছে এতে। এছাড়াও রয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, কমিউনিকেশন, বিদ্যুৎ সরবরাহ, এসওএস কল বক্স, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ইত্যাদি। এই সুড়ঙ্গপথ ধরতে গেলে ছোট গাড়িকে ওয়ান ওয়ে ট্রিপের জন্য দিতে হবে ৫৫ টাকা। গন্তব্যে যাওয়া ও ফেরার জন্য ৮৫ টাকা। মাসিক পাস পাওয়া যাবে ১,৮৭০ টাকায়। মিনি বাসকে দিতে হবে ওয়ান ওয়ের জন্য ৯০ টাকা, ফেরার জন্য ১৩৫ টাকা। বাস ও ট্রাককে দিতে হবে ১৯০ টাকা ও টু ওয়ে সফরের জন্য ২৮৫ টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গ তৈরির ফলে বছরে ৯৯ কোটি টাকার জ্বালানি বাঁচবে। অর্থাৎ প্রতিদিন বাঁচবে ২৭ লাখ টাকার জ্বালানি।