মহিলা পলিটেকনিকের ছাত্রী আনোয়ারার রহস্য মৃত্যুতে উত্তাল রাজধানী

air.jpg1 air.jpg2 Anoaraনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল ৷৷ রাজধানীর মহিলা পলিটেকনিক কলেজের ১৭ বছরের ছাত্রী আনোয়ারা চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য দিন দিন উন্মোচিত হচ্ছে। তার রহস্য মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্তিতি। আনোয়ারা এর রহস্য মৃত্যুর সুষ্ঠ তদন্তের দাবীতে পথে নামল বড়দোয়ালী স্কুলের এবং মহিলা পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার, বিকেলে ‘We Want Justice’ লেখা প্লে বোর্ড হাতে নিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেন ছাত্রছাত্রীরা। মিছিল শেষে সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে নিয়ে রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনীতে রাস্তা অবরোধ করে বসেন ছাত্রছাত্রীরা। ফলে রাস্তার সব দিকেই আটকে পড়ে যানবাহন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আনোয়ারার মৃত্যুর সুষ্ঠ তদন্তের দাবীতে তার কলেজের পড়ুয়ারা পশ্চিম থানায় এসে এস ডি পি ও এবং ওসির কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন। বুধবার একই দাবীতে এস এস ইউ আই এবং বড়দোয়ালী স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিম থানায় ও পশ্চিম মহিলা থানায় ডেপুটেশন দিয়েছেন। জানা যায়, চাপে পড়ে বৃহস্পতিবার আনোয়ারা চৌধুরীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, অতিসাম্প্রতিক মহিলা পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী আনোয়ারা চৌধুরী বমি ও পেট ব্যথায় হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে আনোয়ারা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। জানাযায়, আনোয়ারার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে তার সহপাঠীরা সহ প্রতিবেশীরা জড়ো হন। কিন্তু কাউকেই মৃতদেহের পাশে যেতে না দিয়ে তাড়িঘরি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ এনে কবর দেয়া হয়। তার সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা যারা আনোয়ারের মৃতদেহ দেখেছে তাদের অভিযোগ, আনোয়ারের দেহে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে আঘাতের চিহ্ন কেন? কিভাবে আনোয়ারার ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট হল? কোথায় গেল আনোয়ারার মোবাইল ফোন? তাদের দাবী আনোয়ারার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
জানা যায়, আনোয়ারার মা নেই। তার দেড় বছর বয়সে তার বাবা দ্বিতীয় সংসার করেন। এরকম করে আনোয়ারার বাবা কম করেও ৭টি সংসার করেন। তার বাবার এই অধঃপতন সহ্য করতে না পেরে আত্যহত্যা করেছিলেন তার মা। মা মারা যাওয়ার পর দিদার কাছে থাকত আনোয়ারা। সাড়ে সাত বছর বয়সে দিদাও মারা যায়। দিদার মৃত্যুর পর অসহায় ছোট্ট আনোয়ারা মায়ের কাকিমার (দিদা) কাছে পালিত হত।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*