আন্তর্জাতিক ডেস্ক ৷৷ মৌলবীরা দাবি করেছিল, মূর্তি ইসলামবিরোধী তাই তা সরাতে হবে। প্রতিবাদ করেন বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু সেই প্রতিবাদে কর্ণপাত না করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে লেডি জাস্টিস মূর্তি সরিয়ে দিল শেখ হাসিনা সরকার। মূর্তিটি গ্রিক বিচারের দেবী থেমিসের হলেও আদল ছিল বাঙালি মহিলার। শাড়ি পরা, এক হাতে তলোয়ার ও অন্যহাতে বিচারের মানদণ্ড থাকা ওই মূর্তি সুপ্রিম কোর্টের সামনে বসানো হয় মাস ছয়েকও হয়নি। কিন্তু মুসলিম সংগঠনগুলি দাবি করে, ওই মূর্তি বসিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে অতএব তা সরাতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার এই দাবি মেনে নেওয়ায় পথে নামেন অসংখ্য ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। প্রতিবাদ করে গনজাগরণ মঞ্চ। আদালতের সামনে এসে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তারা। মূর্তিটি যিনি তৈরি করেন, সেই স্থপতি মৃণাল হক বলেছেন, দেশে শান্তিরক্ষার জন্য ওটি সরিয়ে দেওয়া হল। তবে আধিকারিকরা তাঁকে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের কাছে তা আবার বসানো হবে। মুসলিম মৌলবাদীদের দাবি, ওই গ্রিক দেবীর মূর্তি ইসলাম বিরোধী, তা বসানো মূর্তিপূজার সামিল। এপ্রিল মাসে মৌলবীদের সঙ্গে সাক্ষাতে শেখ হাসিনাও ওই মূর্তির ব্যাপারে তাঁর অমত প্রকাশ করেন ও তা সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সায় দেন। এ ব্যাপারে সমালোচনা হলে তিনি বলেন, মূর্তিটি আর গ্রিক দেবীর নেই, তা এখন অর্ধেক গ্রিক, অর্ধেক বাঙালি। তাহলে এটা সরানো হবে না কেন। বাংলাদেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশি ধরপাকড় চললেও দ্রুত মাথাচাড়া দিচ্ছে ইসলামি কট্টরপন্থা। শেষ কয়েক বছরে একের পর এক ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার, সংখ্যালঘু নাগরিক ও সমকামী ব্যক্তি কট্টরপন্থীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।