আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে ৷৷ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ সালের ২৬শে মে জন্মগ্রহন করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর ১১৯ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে সরকারী – বেসরকারী স্তরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গোটা রাজ্যে। নজরুলের অবিনশ্বর সৃষ্টি ধারায় তাঁকে জন্মদিবসে ফুল মালায় সন্মান শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। নজরুলের সাহিত্য সৃষ্টি আর জীবনের নানা পর্বের কথায় তিনি যুগে যুগে নিঃশোষিত চিরায়ত ফল্গুধারা প্রমানিত হয়েছে। সুরের ব্যাঞ্জনা, শব্দের স্ফুরন, ভাষার প্রশোপনে কাজী নজরুল বন্দিত হয়েছেন পুণ্য জিন্মদিবসে। নজরুল যুদ্ধস্থলে সৈনিকের অনুপ্রেরনা, রুদ্ধ মানুষের লড়াইয়ের সাথে, দারুচিনির সুরে শিশুর সহপাঠী আবার অত্যাচারীত মানুষের কাছে ধূমকেতু সম মহাশক্তি। সম্প্রীতির সেই গান ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম’ আর মানুষ হয়ে অধিকার আদায়ে ‘বল বীর, চির উন্নত মম শির’ ধ্বনিত হয়েছে গোটা রাজ্যে কাজী নজরুলের ১১৯ তম জন্মদিবসে।
শুক্রবার গোটা রাজ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কাজী নজরুলের ১১৯ তম জন্মদিবস পালন করা হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতীতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা, শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মিহির দেব, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ বিপ্রদাস পালিত, রাজ্য শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের অধিকর্তা রতিশ মজুমদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা উত্তম কুমার চাকমা। ছাত্রছাত্রীদের একক নৃত্য ছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের আবৃতি, গান ও নৃত্য।