গোপাল সিং, খোয়াই, ৩০ মে ৷৷ খোয়াই জেলা পুলিশ প্রশাসনের বর্তমান অবস্থায় ভাল চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত বলে মনে করেন খোয়াই জেলার জনগণ। উদাহরনস্বরূপ বর্তমান শহরের উপর চলছে সমাজ দূষনের কারিগরদের রমরমা ব্যবসা। দেশি-বিদেশি মাদক দ্রব্য, কোরাক্স, টেবলেট এর মতো নেশার কারবার এবং জান্ডিমুন্ডার মতো জুয়ার রমরমা ব্যবসা। শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলিতে যতগুলি চড়ক মেলা হয়েছে প্রত্যেকটি চড়ক মেলায় বসেছে জান্ডিমুন্ডা খেলার আসর। অথচ খোয়াই জেলা পুলিশ প্রশাসন সামনের দৃশ্যগুলি দেখেন না কিন্তু দূরের জিনিষ ভাল ভাল দেখতে পান।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ খোয়াই থানাধীন বাচাইবাড়ী বাজার এলাকা থেকে জান্ডিমুন্ডা জুয়ার খেলার সামগ্রী সহ নগদ প্রায় কুড়ি হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে খোয়াই থানার পুলিশ। ধরা পড়ে মন্টু দেববর্মা এবং উত্তম দেববর্মা নামে দুই যুবক। বাকিরা টাকা সমেত পালিয়ে যায়। ধৃত যুবকরা জানায়, তারা এই জুয়া খেলার মালিক নয়। খেলা দেখতে গিয়েছিল মাত্র। তারা এও জানায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত ছিল। এদিকে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় জান্ডিমুন্ডা খেলার প্রবণতা বেড়েই চলছে। জান্ডিমুন্ডা খেলার সামগ্রী ভাড়া পর্যন্ত দেওয়া হয়। এসমস্ত কিছু চলছে অথচ পুলিশ কিছুই জানে না এমনটা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন জনসাধারন। বরং খোয়াই জেলা পুলিশ প্রশাসনকে জান্ডিমুন্ডার মালিকরা বড় অঙ্কের ট্যাক্স প্রদান করে থাকেন। মাঝে মাছে কিছু খেলার সরঞ্জাম এবং টাকা বাজেয়াপ্ত করার মধ্য দিয়ে নিয়মরক্ষা করে চলছে পুলিশ প্রশাসন। সবকিছুই নাটক রূপে মঞ্চস্থ করেন। থানার কুড়ি হাত দুরেই নেশা কারবারীরা রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ খোয়াই পুলিশ প্রশাসনের চোখে তা পড়ে না। তাইতো জনগণ বলছেন ভাল চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে নিতে। উনার যেহেতু দুরের জিনিষ দেখেন, চোখের সামনের অসামাজিক কাজ দেখেনে না। তাই যাতে কাছের জিনিষও পুলিশের নজরে পড়ে তার জন্য অনতিবিলম্বে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখানোর প্রয়োজন বলেই মনে করছেন জনসাধারন। নতুবা শহরে সমাজ দূষনকারীদের চেনা যাবে না।