বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৪ জুন ৷৷ শান্তির বাজার শহরের প্রান কেন্দ্রে স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন নিখিল ক্লিনিক নামে চেম্বার নিয়ে বসেন কলকাতার বাসিন্দা রিতেশ বিস্বাস। সে দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ কোনো প্রকার ট্রেড লাইসেন্স ছারা অবৈধভাবে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সে নিজ খেয়াল খুশিমত রোগিদের পকেট কেটে যাচ্ছেন কারোর কাছ থেকে ৬ হাজার আবার কারো কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা খেয়াল খুশিমত টাকা রাখছে। ওর চেম্বারের ভিতর ওটি খুলে রেখেছেন কোনো প্রকার অনুমোদন ছারা। দোকানের সামনে বিশাল আকারের সাইনবোর্ড লাগান আছে রিতেশ বাবু অনেক বিষয়ে স্পেশালিষ্ট আসলে ওর কাছে দুইটা কলেজের সার্টিফিকেট আছে তাও সত্যি কতটুকু তানিয়ে প্রশ্ন জাগছে। ওর কাছে চিকিৎসা করতে এসে জিবন বিপন্নের পথে জোলাইবাড়ির বাসিন্দা লিটন মালাকার। লিটন মলাকার অর্শরোগে আকান্ত্র হয়ে চিকিৎসার জন্য রিতেশ বাবুর কাছে আসেন আর এই রোগিদের সরলতার সুযোগ নিয়ে রিতেশ বাবু সকলকে সর্বশান্ত করে দেন। লিটন মালাকার থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দেন ৩ মাস পর্যন্ত চলে চিকিৎসা পরে রিতেশ বাবু লিটন মালাকারকে বলে দেয় ওর চিকিৎসা সম্পূর্ন হয়েগেছে। আসলে চিকিৎসা কিছুই হয়নি লিটন মালাকার রিতেশ বিশ্বাসের কাছে ওর রোগের কথা জানাতে রিতেশ বিশ্বাস জানান আবারো অপরেশন করতে হবে তার জন্য আবারো নগদ ৮ হাজার টাকা অগ্রিম রিতেশ বাবুর টেবিলে রাখতে হবে। এতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে যায় লিটন মালাকার। পরবর্তি সময় লিটন মালাকার আগারতলা চলে যায় চিকিৎসার জন্য সেখানকার ডাক্তার বাবু জানান আগের ভুল চিকিৎসার জন্য উর রোগবিশাল আকার ধারন করেছে। অবশেষে ন্যায় বিচারের জন্য ও পরবর্তি রুগিদের সচেতন করার জন্য লিটন মালাকার সংবাদ মাধ্যমের দারস্ত হন। সংবাদ মাধ্যমের লোকজন রিতেশ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে প্রথম সংবাদ মাধ্যমের সামনে অশ্লিন ব্যাবহার করেন পরে তিনি জানান উনার কাগজ কি আছে আর নেই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানাতে বাধ্যনন। সংবাদ মাধ্যম উনার কাছে যাবার পর দোরঝাপ শুরু হয় গত সোমবার শান্তির বাজার পুরপরিষদে ট্রেডলাইসেন্স-র জন্য জমাদেয়। পরবর্তি সময় খোজ খবর নেওয়ার কাগজপত্রের জেরেক্স কপি সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসে এথেকে জানা যায় ওর কাছে শুধুমাত্র এক্সপেরিয়েন্স এর দুটি সংস্থার সার্টিফিকেট আছে তাও কতটুকু বৈধ তা জানা নেই। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী সে অনেক জনকে সর্বশান্ত করার পর বিদেশ পারি দেবার পরিকল্পনা করছে। শান্তির বাজার মহকুমা শাসকেক নজরেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তিনি সমস্ত বেপারটি দেখবেন বলে জানান। এখন দেখার বিষয় প্রসাশন এইসব প্রতারকের বিরুদ্বে কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেন।