সুভ্র রায়, চুড়াইবাড়ী, ১৩ নভেম্বর ।। পশ্চিম বঙ্গের ‘বর্ধমান’ কান্ডের পর দেশ জুরে সীমান্তে ব্যপক নিরাপত্তা চালু করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা যাতে ভারতে প্রবেশ করে নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে জারি করা হয় লাল সংকেত। কিন্তু এর পরেও সীমান্ত সুরক্ষিত নয়। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধরমনগর মহকুমার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ব্রজেন্দ্রনগর, বিষ্ণুপুর এবং ইয়াকুব নগর এলাকা আজ গোটা দেশের সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধরমনগর মহকুমার বিষ্ণুপুর এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার, ব্রজেন্দ্রনগর সীমান্তে প্রায় ৬০ মিটার এবং ইয়াকুব নগর সীমান্তে প্রায় ৪৫০ মিটার এলাকা সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ঐ সব এলাকায় কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। যার ফলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা বিনা বাঁধায় চলে আসছে এ-পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এ মন্তব্য করেছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী যদি তাদের নজরদাড়ি না বাড়ায় তাহলে ত্রিপুরা সহ বরাক উপত্যকায় যেকোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। সূত্রটির মতে, সীমান্তের ঐ অসুরক্ষিত এলাকা গুলিকে সন্ত্রাসীরা নিরাপদ করিডোর হিসাবে ব্যবহার করছে দীর্ঘ দিন ধরে। জমাত উল-মুজাহিদিন সহ বিভিন্ন জঙ্গি দলের সদস্যরা সীমান্ত পেড়িয়ে চলে আসছে এপারে। এখানে গোপন আস্তানায় দু-একদিন থাকার পর ঐ সন্ত্রাসীরা বিনা বাঁধায় চলে যাচ্ছে আসামের বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার গোপন ডেরায়।
সূত্রটির মতে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মী এবং সীমান্ত এলাকার বেসরকারী কিছু চোড়াকারবারির দৌলতে ত্রিপুরা সহ বরাক উপত্যকা আজ হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। কখন কি হয় তা বলা মুশকিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ তারা অনেকদিন আগেই ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে সূত্রটি জানায়।