আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুলাই ৷৷ জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষাদানের জগতে ৫০ বর্ষ অতিক্রম করেছে আগরতলা বাধারঘাটস্থিত রামঠাকুর কলেজ। এই উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে এক বর্ণময় শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে রামঠাকুর কলেজে তিনদিন ব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে মূখ্যমন্ত্রী মহাবিদ্যালয়ে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন এবং মহাবিদ্যালয় চত্বরে সুবর্ণজয়ন্তী বৃক্ষ রোপন করেন। কলেজ প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী ভাষনে মূখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু কারিগরি শিক্ষাই নয়, আই এ এস, আই পি এস এবং আই এফ এস হয়ে উঠার জন্যও যেন রাজ্যের ছাত্র সমাজ সচেষ্ট হয়। কারন দেশ পরিচালনায় এরাই নীতি নির্ধারণের ভূমিকা নেয়। মূখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু পাশের জন্য পাশ নয়। রাজ্যে শিক্ষার যে সুবর্ণ সুযোগ তৈরী হয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে বড় মানুষ হতে হবে।
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে রামঠাকুর কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ডঃ রবীন্দ্রনাথ দাশশাস্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অতীতের স্মৃতিচারণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য, বিধায়ক রাজকুমার চৌধুরী, বিধায়ক রামু দাস, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ বিপ্রদাস পালিত, সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডঃ মুজাহিদ রহমান, এলামনী এসোসিয়েশানের সভাপতি সুকুমার দেবনাথ, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ইদ্রিজ মিয়া, রামঠাকুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রমোদ রঞ্জন ভট্টের নিকটাত্মীয়া শোভা ভট্ট সহ মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন অধ্যাপক-অধ্যপিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি তথা রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ দেবব্রত গোস্বামী।
এদিন অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে বাধারঘাট দশরথ দেব স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং ছাত্রী, অধ্যাপিকা এবং মহিলা শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে বল ছোঁড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী সহিদ চৌধুরী।