আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুলাই ৷৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানশাস্ত্রে মানুষের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হার্ট বা হৃদয়। হার্টে যে কোন সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ হার্ট সমস্যায় ভুগছেন। মানব দেহের অভ্যন্তরে রক্ত সঞ্চালনে হৃদয় যন্ত্রের উপর পুরোপুরি নির্ভর জীবন রেখা। হার্টের সুস্থতা হচ্ছে জীবনের গ্যারান্টী। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে জীবন ধারা। সেই ধারাতে এমুহূর্তে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় চিরায়ত খাদ্যাভাবে, সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবন প্রনালী অসময়ে মৃত্যু ডেকে আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হার্টের অসুখ কিংবা পেসমেকার সর্বজনবিদিত। অমূল্য জীবন মানুষের দৌলতেই মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে তার পেছনে রয়েচ্ছে নানা কারন। গোটা পৃথিবীতেই বেড়ে চলেছে হার্টের সমস্যাক্রন্ত মানুষের সংখ্যা। হার্টের অসুখের চিকিৎসা অন্তত ব্যয়বহুল ফলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চিকিৎসকরা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস জারী রেখেছে তারপরেও হৃদয় ঘটিত রোগাক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
সোমবার আগরতলা বাধারঘাটস্থিত রামঠাকুর কলেজে তিনদিন ব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি দিনে হার্ট এট্যাক সম্পর্কিত এক জনসচেতনতামূলক আলোচনাচক্রে রাজ্যের প্রথম সুপার স্পেসালিটি হাসপাতাল আই এল এস-র তরফে ডাঃ জয়ন্ত আচার্য মানুষের কাছে আবেদন করেছে মধুমেহ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন সঙ্গে প্রত্যেকটা মানুষকে শারীরিক ব্যায়াম এবং হাঁটার অভ্যাসই হার্টের অসুখ থেকে নিস্তার দিতে পারে। জীবনের আনন্দ উপোভোগে সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে জীবনশৈলীর পরিবর্তন একান্ত অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি। ডাঃ আচার্য বলেন, ধুমপানের প্রবনতায় উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ার ফলে হৃদয় ঘটিত ব্যাধি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষ। এই আলোচনাচক্রে জীবন বাঁচাতে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন আই এল এস হাসপাতালের বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা। রামঠাকুর কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান তথা সহকারী অধ্যাপক ডঃ অরিজিৎ দাসের সহযোগীতায় আয়োজিত হার্ট সম্পর্কিত জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আই এল এস হাসপাতালের ডেপুটি মার্কেটিং ম্যানেজার সুমন্ত বিশ্বাস, ডাঃ জয়ন্ত আচার্য সহ রামঠাকুর কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন অধ্যাপক-অধ্যপিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে রামঠাকুর কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান তথা সহকারী অধ্যাপক ডঃ অরিজিৎ দাস অতিথিদের হাতে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও স্মারক তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান।