কলকাতা, ১৪ নভেম্বর ।। জেলের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কুণাল ঘোষ। আজ ভোররাতে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। প্রসঙ্গত তিন দিন আগেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন কুণাল।
সেলের মধ্যেই বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সিসিইউ-র পাঁচ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। রাতেই তাঁর পাকস্থলি ওয়াশ করা হয়। চিকিত্সকরা জানান, চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন কুণাল। এখনও আশঙ্কাজনক হলেও তাঁর অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকরা। এ দিন হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কুণালের পরিবারকে।
অসুস্থতার জন্য রোজ ৩টি করে ওষুধ খেতেন তিনি। চিকিত্সকদের নির্দেশেই সেই ওষুধ দেওয়া হত তাকে। নার্ভ, প্রেসার ও ঘুমের ওষুধ খেতেন তিনি। তাঁর সেলের কাগজপত্রের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সুইসাইড নোট তার মধ্যে একটি নোট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা।
কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টা করায় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার, চিকিত্সক ও কুণালের সেলের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কিছুক্ষণের মধ্যে সাসপেনশনের চিঠি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও গোটা ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিত্সক গৌতম দাশগুপ্তের নির্দেশেই কুণাল ঘোষ প্রতিদিন ৩টি করে ওষুধ খেতেন। নার্ভ, প্রেসার ও ঘুমের জন্য ওষুধ খেতেন তিনি। কুণাল ঘোষের দাবি উনি আটান্নটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। একসঙ্গে এত বেশি ঘুমের ওষুধ তার কাছে গেল কীকরে? সেই প্রশ্নেই চিকিত্সক গৌতম দাশগুপ্তকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে কূণাল ঘোষ আত্মহত্যা প্রবণ জানা সত্ত্বেও কেন তার সেলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি সেই বিতর্কে সাসপেন্ড করা হয়েছে জেল সুপার নবীন সাহা ও নজরদারিতে গাফিলতির কারণে সাসপেনশনের মুখে পড়েছেন কুণালের সেলের কারারক্ষীকে।