বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০১ আগষ্ট ৷৷ বিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে ক্লাস বয়কটে সামিল হল সোনরটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা। শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত লাউগাং বাজারের পাশে এই বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ১৬০ জন ছাত্র ছাত্রী, আর এদের শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক এর সংখ্যা প্রধান শিক্ষক সহ মোট ৭ জন। এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘ অনেক বছর যাবৎ বিভিন্ন সমস্যায় জরজরিত। এই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা লাঠে উঠেছে বলে অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেনা আর যে কয়েকজন আসে তারা ঠিক ভাবে ক্লাস করেনা এমনটাই অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের। তারা জানান তাদের এই অভিযোগ যাকে জানাবেন অর্থাৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিউটন রিয়াং তিনি বিদ্যালয়ে একেবারে আসেননা বললেই চলে। উনাকে বিদ্যালয়ে এসে খোজ করলে পাওয়া যায় না। অনুপস্থিতির কারন উনার কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিং এর অজুহাত দেখিয়ে কেটে পরেন। তিনি নাকি অফিস এর কাজে মিটিং নিয়ে এদিক সেদিক ছুটে বেরান। ছাত্র ছাত্রীরা এও জানায় তিনটা বাজতো না বাজতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বাকি সময় ক্লাস না করিয়ে তাদেরকে বসিয়ে রাখা হয়। বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও স্কুল এর রুম থেকে শুরুকরে বসার টেবিল ও সাইকেল ঘর সংস্কারের দাবিতেও তারা আন্দোলন করছে। তাদের দাবির মধ্যে আরেকটি দাবি হল মিডি ডে মিল খাবারের জন্য ডাইনিং রুম নির্মন করা কারন এখন তাদেরকে খোলা আকাশের নিচে বসে খাবার খেতে হয়। এই সকল দাবি নিয়ে আগেও একবার প্রতিবাদ করেছিল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় বারের মতো ছাত্র ছাত্রীরা সকলে মিলে ক্লাস বয়কট করল। বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে লাউগাং পঞ্চায়েত। ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ ও ডাইনিং রুমের জন্য পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধান ও প্রশাসনিক সকল স্তরের আধিকারিক এর নিকট আবেদন করেছিল। পঞ্চায়েত থেকে দিনের পর দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি তাই সকলে ক্ষুব্ধ হয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বয়কটের সিদান্ত নিয়েছে। ক্লাস বয়কট চলার দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর শান্তির বাজার বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল বিশ্বাস ও ডিসিএম রুদ্র দ্বীপনাথ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাত্র ছাত্রীদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন খুব শিঘ্রই তাদের দাবিগুলি মেনে নেওয়া হবে এবং তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান ছাত্র ছাত্রীদের এই দাবি গুলি যুক্তিযুক্ত। বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন যেন সঠিকভাবে চলে সেই দিকে তিনি বিশেষ নজর দেবেন বলে জানান। এখন দেখার বিষয় বিদ্যালয় পরিদর্শক এর দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটুকু কার্যকর হয়।