পোলান্ডের মর্গে উঠে বসে চা চেয়ে বসলেন ‘মৃত’ বৃদ্ধা

31230-poland-deth-dicliar-laduyওয়ারশ, ১৫ নভেম্বর ।। না কোনও বিজ্ঞাপণের ক্যাচ লাইন নয়। এ ঘটনা সত্যি… মর্গে রাখা মৃতদেহ হঠাত্ নড়ে চড়ে বলে উঠল, ‘উঃ ঠান্ডায় জমে যাচ্ছি। এক কাপ গরম চা দাও’। নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মর্গের এক কর্মী। সবে মাত্র একটি মৃতদের নিয়ে তিনি ঢুকেছিলেন। হঠাত্ দেখলেন পাশের ঢাকা দেওয়া মৃতদেহটি নড়েচড়ে উঠল। ঢাকা খুলে দেখতে যেতেই শুনলেন, এক কাপ চা দাও। চমকে উঠে সবাইকে ডাকলেন তিনি। জানা গেল, মৃত ভেবে যাঁকে মর্গে পাঠানো হয়েছিল তিনি বেঁচে রয়েছেন।পোল্যান্ডের ওস্ট্রো লুবেলস্কি শহরে এই ঘটনা ঘটেছে।মৃত ঘোষণার দুঘন্টা পরে জেগে উঠলেন ৯১ বছরের বৃদ্ধা জেনিনা কোল্কিওয়াইকজ।
এই ঘটনায় যে চিকিত্সক ওই বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন তিনি খুবই মর্মাহত। ওয়াইসলেওয়া নামের ওই মহিলা চিকিত্সক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হন যে, ওই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। গত ৬ নভেম্বর সকালে ডাক পেয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যান ওই মহিলা চিকিত্সক। সেখানে গিয়ে তিনি বৃদ্ধার হাত ও গলার ধমণীর স্পন্দন দেখেন, হৃত্স্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দও পরীক্ষা করেন। আলো পড়লে চোখেন মণিও নড়াচড়া করে কিনা, সেই পরীক্ষাও করেন। সব পরীক্ষার পর তিনি নিশ্চিত হন যে, ওই মহিলা মারা গিয়েছেন।
চিকিত্সক আরও জানিয়েছেন, বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে আমি অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বলতাম, ইলেট্রোডায়াগ্রামও করতাম। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম যে রোগী মারা গিয়েছেন।
চিকিত্সক মৃত ঘোষণার পর ওই বৃদ্ধাকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সময়টা তখন প্রায় মধ্যরাত। মর্গে একটি আবরণে ঢেকে তাঁকে রাখা হয়েছিল। সেই সময় মর্গেরই এক কর্মী আর একটি মৃতদেহ নিয়ে সেখানে আসেন। তিনি তো ঢাকা মরদেহকে নড়তে চড়তে দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। ঢাকা খুলে দেখতে গিয়ে বিষ্ময়ের ঘোর কাটার আগেই তিনি শুনলেন, উঃ ঠান্ডায় জমে যাচ্ছি। এক কাপ গরম চা দাও।
এরপর বৃদ্ধাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন চিকিত্সকের কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জারি করা ডেথ সার্টিফিকেট বাতিলের জন্যও আদালতে আর্জি জানানো হয়েছে।
এদিকে, মর্গ থেকে বাড়িতে আনার পর আর হাসপাতালেও পাঠাতে হয়নি। তিনি এখন দিব্যি সুস্থ রয়েছেন।
ছবি: দ্যা টেলিগ্রাফ

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*