আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ নভেম্বর ৷৷ দুমাসের মধ্যে রাজ্যে ২ জন সাংবাদিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পদত্যাগের দাবীতে বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যে বিজেপি ডাকা বনধে রাজ্যের জনগন স্বতঃস্পুর্তভাবে সামিল হয়েছেন। রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোথাও কোনো বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন পড়েনি। রাজ্যের ইতিহাসে এই জাতীয় ধর্মঘট কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। বৃহস্পতিবার বিজেপি আহুত এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই কথা বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব।
শ্রী দেব বলেন, বনধকে ঘিরে শাষকদলের কিছু ক্যাডারবাহিনী বিজেপি কর্মীসমর্থকদের উপর বিভিন্ন স্থানে চড়াও হয়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। সাংবাদিক সন্মেলনে শ্রী দেব জানান, প্রতাপগড়ে সুমন ঘোষের নেতৃত্বে শাষকদলের কিছু ক্যাডারবাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীসমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শ্রী দেব আরও বলেন, বক্সনগরে সীমান্তের ওপার থেকে কিছু ভারাটে বাংলাদেশের গুন্ডা বাহিনী এনে বিজেপি কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং বিজেপি কর্মীসমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে ৭ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনুরুপ ভাবে সংঘর্ষ হয়েছে খোয়াই, রাজনগর, কাঞ্চনপু্ পেচারথল, নলছড় ও ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
অপরদিকে সি পি আই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের কয়েকটি স্থানে বিজেপি পিকেটারদের হাতে দোকানি, অফিস ও স্কুল যাত্রীদের আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও সরকারি কর্মচারীদের অফিস থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। আই জি এম হাসপাতালেও হুজ্জুতি করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।