প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হয়েও তাঁকে আর পাঁচজনের মতো সরকারি-বেসরকারি যানবাহনই ব্যবহার করতে হচ্ছে, তাঁর নিরাপত্তার নিযুক্ত রক্ষীদেরও সাধারণ গাড়িতে যাওয়াআসা করতে হয়! এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী যশোদাবেন।তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে মেহসানা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়ে তাঁর নিরাপত্তার আয়োজন নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন, তিনি কী কী নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ পাওয়ার অধিকারী, তা জানতে চেয়েছেন যশোদাবেন।
মেহসানার পুলিশ সুপার জে আর মোথালিয়া বলেছেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসাবে তাঁর কী কী সুবিধা প্রাপ্য, তা জানতে চেয়ে আজ আমাদের কার্যালয়ে এসে একটি আরটিআই আবেদন পেশ করেছেন উনি।আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জবাব পাঠিয়ে দেব।
যশোদাবেন মেহসানার উঞ্ঝা শহরে ভাই অশোক মোদির বাড়িতে থাকেন।নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তাঁর নিরাপত্তার দেখভাল করছে মেহসানা পুলিশ।মেহসানার স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের পুলিশ ইনসপেক্টর জেএস চাভদা বলেছেন, আমরা সশস্ত্র রক্ষী সমেত আমাদের দশজন পুলিশকর্মীকে ওনার নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করেছি।প্রতি শিফটে ৫ জন করে তাঁরা দুটি শিফটে সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকেন।
যশোদাবেন তাঁর আবেদনে প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত একাধিক নথিপত্র চেয়েছেন।তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশের মূল কপিটিও পুলিশ বিভাগের কাছে চেয়েছেন।এও জানতে চেয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী নিয়মবিধি আছে।প্রোটোকলের সংজ্ঞা কী এবং সেই অনুসারে কোন কোন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা আছে, সেই ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।
তাঁর এখনকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অসন্তোষ প্রকাশ করে যশোদাবেন তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নিজের দেহরক্ষীদের ভয় পেতেন, একদিন তাদের হাতেই তাঁকে মরতে হয়েছিল!