শিলিগুড়ি, ২ ডিসেম্বর ।। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কর্মিসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বৈঠককে তীব্র কটাক্ষ করলেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠককে বিদ্রুপ করে বাম-বিজেপি সখ্যের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হলেন মমতা।
উন্নয়নের প্রশ্নে প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা। অনেকেই বলছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের উজ্জ্বল নজির এর থেকে আর কী হতে পারে? কিন্তু সেই বৈঠককেই কটাক্ষ করছেন আর এক মুখ্যমন্ত্রী। তীক্ষ্ণ স্বরে বিদ্রুপ করেছেন মমতা। বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বৈঠক করবে ত্রিপুরায়।একেবারে মুখভর্তি জল…গদ..গদ..ভাই..ভাই, ..দুই ভাই বড় ভাই, ছোট ভাই..এখনও লজ্জা নেই.. এখানে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি আমাদের সঙ্গে লড়াই করে..আমাদের কিছু অসুবিধা নেই..আমরা মানুষকে নিয়ে লড়াই করব।
https://www.youtube.com/watch?v=B3YKN3vr1pU
ভিডিও সৌজন্যে এবিপি নিউজ।
মোদি-মানিক বৈঠকের মধ্যে অবশ্য কোনও রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এ ব্যাপারে মমতাকেই পাল্টা বিঁধেছেন।তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক খুবই স্বাভাবিক। মমতাই বরঞ্চ বিজেপির ভয়ে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
ত্রিপুরার উন্নয়নের স্বার্থে সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। পরে মানিক সরকারের উপস্থিতিতে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে ত্রিপুরার অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই রাজনৈতিক মহলের একাংশে প্রশ্ন ওঠে, মানিক সরকার পারলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন পারেন না? কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের জন্য দরবার করা তো দূরের কথা, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শুভেচ্ছাটুকু জানান না পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী?
পশ্চিম বঙ্গের বিরোধীদের কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কীভাবে দূরে সরিয়ে দিতে হয়, মানিক সরকারের কাছে শেখা উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা না করে, তিনি কটাক্ষ করলেন সেই বৈঠকেই!