দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৭ জুলাই/(NUT) : গণদূত পত্রিকার সম্পাদক সুশীল চৌধুরীর ভাগ্যের রায় জানতে গোটা রাজ্যের মানুষ উন্মুখ হয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে ১৭ই জুলাই ২০১৪তে। দীর্ঘ সময় শুনানীর পর ভারতীয় গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী সুশীল চৌধুরীর আজীবন কারাবাসের ঘোষনায় কেউ বলেছেন পাপের শাস্তি, কেউ আবার বলেছেন ফাঁসির আদেশ কেন হলোনা তা নিয়ে ভাবছেন।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ইংরেজী থ্রিলার সিনেমাকে হার মানিয়ে সুশীল চৌধুরী প্রমান করে দিয়েছেন আশি বছরেও শয়তানের মস্তিষ্কে ঘুন ধরেনা।
দিন দুপুরে পবিত্র পত্রিকা অফিসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যেমন রাজ্যের আপামর মানুষকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল, তেমনি ২০১৩ সালের ১৯শে মে দিন দুপুরে যারা অভিশপ্ত ভাবে খুন হয়েছিলেন, তাদের পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যের মানুষ গণদূত পত্রিকার মালিক তথা সম্পাদক সুশীল চৌধুরীকে ১৭ই জুলাই ২০১৪তে আদালতের রায়ে আজীবন কারাবাসের রায়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন সন্দেহ নেই।
আদালতের রায়ে এক মা বলেছেন- সুশীল চৌধুরীর কলঙ্কের ঘটনায় হয়ত কোনো শিশুর নাম সুশীল রাখবেন না কোনো “মা”।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯শে মে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ক্যাপিটেল কমপ্লেক্স’র পাশে দিন দুপুরে গণদূত পত্রিকা অফিসের ভেতর গণদূত পত্রিকার ম্যানেজার রঞ্জিত চৌধুরী, গ্রুফ রিডার সুজিত ভট্টাচার্য ও ড্রাইভার বলরাম ঘোষ খুন হয়েছিল। এই ত্রয়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে মৃত বলরামের স্ত্রী নিয়তী ঘোষকে আটক করলেও নিয়তী ঘোষের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গণদূত পত্রিকার মালিক তথা সম্পাদক সুশীল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। অনেক তদন্তের পর পুলিশ এই খুনে সুশীল চৌধুরীকেই মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করে।
অবশেষে সোমবার (১৪ তারিখ) আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল গণদূত ত্রয়ী হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুশীল চৌধুরীকে। অপরদিকে সোমবার (১৪ তারিখ) গণদূত ত্রয়ী হত্যাকাণ্ডের রাজসাক্ষী নিয়তি ঘোষকে বেকসুর খালাস করেছিল আদালত।
গণদূত ত্রয়ী হত্যাকাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড সুশীল চৌধুরীকে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০(বি), ১০৯, ৩৪, ৩০২, ১১১, ১১৩ এবং ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
অবশেষে দীর্ঘ সময় শুনানীর পর ভারতীয় গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী সুশীল চৌধুরীর আজীবন কারাবাসের ঘোষনা করে আদালত।
সুমন ঘোষের তোলা ছবি।