হাজারিবাগ, ৬ ডিসেম্বর ।। জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গি হামলাকে ভারতের গণতন্ত্রের ওপর হামলা বলে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘জঙ্গিরা দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের বীর জওয়ানরা সেই প্রচেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে।‘ কাশ্মীর হামলায় নিহত জওয়ানদের স্মরণে এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঝাড়খন্ডের বীর সন্তান সংকল্প কুমার শুক্লর স্মৃতির প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর বলিদান রাজ্যের আগামী প্রজন্ম কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে দফায় দফায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু করে শুক্রবার সকালের মধ্যে মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে চার জায়গায় জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গের মাটি। ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া উরি সেক্টরে সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে লাগাতার গুলিবর্ষণ, সোপিয়ানে থানায় গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। সৌরা ও ত্রালেও চলে গুলিবর্ষণ। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে এক অফিসার সহ সামরিক বাহিনীর ৮ জন ও রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের আরও ৩ জন নিহত হন। উল্লেখ্য, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সংকল্প কুমার শুক্লই হলেন সেই সামরিক অফিসার যিনি শুক্রবারের ঘটনায় নিহত হন। এছাড়া গতকালের জঙ্গি হামলায় মারা যান দুই সাধারণ নাগরিকও। অন্যদিকে, নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে খতম হয় ৭ জঙ্গি।
এর আগে হামলার পরই শুক্রবার টুইটারে হামলার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মোদি। তিনি জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে ভোটদানের হার বেড়েছে ফলে আশা, আকাঙ্খার নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে বানচাল করার মরিয়া চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, হামলার জন্য পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে চলছে পাঁচ দফার বিধানসভার নির্বাচন। দু-দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে মঙ্গলবার। তার আগের দিন, সোমবার শ্রীনগরে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।