বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৪ সেপ্টেম্বর ৷৷ স্ত্রীর হাতে খুন স্বামী এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় জনগন ও পরিবারের লোকজনের। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত ছয়গরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মধু ত্রিপুরার (৩০) সাথে বীরচন্দ্র মনুর বাসিন্দা নিমাই দাসের কন্যা ইন্দ্রপ্রভা দাসের (২৯) গত ১০ বছর আগে মাতাবাড়ী ত্রিপুরেশ্বী মন্দিরে বিবিহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসার প্রায় ঠিকঠাক ভাবে চলছে। কিন্তু প্রায় দুই বছর আগে মোবাইলে কথা বলার সন্দেহকে ঘিরে শুরু হয় পারাবারিক অশান্তি। মধু জানতো ওর স্ত্রী অন্যের সাথে সম্পর্ক ছিলো। মধুর স্ত্রী প্রায় সময় ঘর ছেরে চলে যেতো আবার কিছুদিন পরে ঘরে ফিরে আসতো। মধু অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার গাড়ি নিয়ে ব্যাবসার জন্য বের হয়। কিছুক্ষন গাড়ি চালানোর পর দুপুরে খাবার জন্য মধু বাড়িতে আসেন। দুপুরে বাড়িতে এসে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে মধুর সাথে পুনরায় ওর স্ত্রীর ঝগরা হয়। এলাকার লোকজন দেখতে পায় সন্ধ্যায় মধুর স্ত্রী স্কুটি করে আট বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেরে চলে যায়। শুক্রবার সকালে কিছু মহিলা আশার কাজে মধুর বাড়িতে যান গিয়ে দেখে ঘরের দরজা বন্ধ। তখন তারা ঘরের দরজা খুলে দেখে মধু কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে। অনেক ডাকাডাকির পর কোনো প্রকার সারা দিচ্ছেনা দেখে কম্বলটি মধুর গা থেকে সরিয়ে দেখে মধুর শরির ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় খাটের উপর পরে আছে। পরবর্তী সময় সমস্ত ঘটনার বিবরন শান্তিরবাজার থানায় জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বর্তমানে মধুর স্ত্রীকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। মতদেহের ময়না তদন্ত চলছে। এলাকাবাসীর অনুমান অবৈধ সম্পর্কের জেরেই স্ত্রী ইন্দু প্রভা দাস তাকে হত্যা করেছে।