রাইট ভাতৃদ্বয়ের কল্যাণে পাখির মতো মানুষের আকাশে উড়ে বেড়ানো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বহু আগেই। তারপরও থামেনি স্বপ্নচারী মানুষের আকাশ জয়ের ইচ্ছা। পুরোপুরি পূরণ না হলেও নতুন করে আবারো আকাশ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে মানুষ।
জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্রে জেটপ্যাকে চড়ে আকাশে উড়ে বেড়ানোর এমন দৃশ্য খুব স্বাভাবিক হলেও বাস্তবে এ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত খুব একটা সফলতা পায়নি মানুষ।
বৃহস্পতিবার থেকে প্রায় ৩৪ বছর আগে শিশুতোষ টিভি সিরিজ ‘থান্ডারবার্ডস’ আর ‘লস্ট ইন স্পেস’ দেখে জেটপ্যাক নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন মার্টিন। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ১৯৮০ সালে নিজ বাড়ির গ্যারেজে জেটপ্যাক বানানোর কাজ শুরু করেন তিনি। গ্লেন মার্টিনের সেই স্বপ্নই বর্তমানে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে ‘মার্টিন জেটপ্যাক’ নামে।
দীর্ঘ গবেষণার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে জেটপ্যাক উন্মোচন করে মার্টিন এয়ারক্র্যাফট। এরপর ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো জেটপ্যাকে করে একটি ডামিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ফিট উপরে উড়াতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয় জেটপ্যাকটিকে।
অবশ্য নিউজিল্যান্ড বিমান চালাচল সংস্থার অনুমতি পাওয়ায় এবার পাইলটের মাধ্যমে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
মার্টিন এয়ারক্র্যাফটের প্রধান নির্বাহী পিটার কোকার, ‘বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমতিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছি আমরা। এর ফলে এ স্বপ্নকে দ্রুতই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবো আমারা। ভবিষ্যতে একে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করবো আমরা।’
কার্বন ফাইবারে তৈরি ফ্রেমের দুপাশে প্রোপালশান ফ্যানযুক্ত এ জেটপ্যাকটি তৈরি করেছে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন এয়ারক্র্যাফট। জেটপ্যাকটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে চালকের হাতের কাছে থাকা জয়স্টিকের মাধ্যমে। জেটপ্যাকটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৫ সাল নাগাদ সাধারণ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি সামরিক ও দমকল বাহিনীর মতো সংস্থাগুলোর জন্য আলাদা আলাদা সংস্করণ বের করবে বলে জানায় জেটপ্যাকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্টিন এয়ারক্র্যাফট।