নয়াদিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর ।। সংসদ হামলার ১৩তম বর্ষপূর্তিতে শনিবার সংসদ ভবনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ সব সাংসদ। এ দিনসংসদ চত্বরে স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপ রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। শ্রদ্ধা জানাতে সংসদ ভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর৷ ১৩ বছর আগে এরকমই এক শীতের সকালে গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছিল সংসদ চত্বর৷ শীতকালীন অধিবেশনে তখন ব্যস্ত লোকসভা-রাজ্যসভা৷ সেই সময়ই আচমকা ৫ সশস্ত্র জঙ্গি হানা দেয় সংসদ ভবন চত্বরে৷ রক্তাক্ত হয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পীঠস্থান৷ দেশের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের আধুনিক অস্ত্র-বিস্ফোরক দেখেও পিছু না হটে লড়াই চালিয়ে শহিদের মৃত্যু বরণ করেন ৬ নিরাপত্তারক্ষী সহ ৯ জন৷ তাঁদের জন্যই সে দিন দেশের নেতা-মন্ত্রীদের প্রাণ বেঁচেছিল, রক্ষা পেয়েছিল দেশের সম্মান। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে খতম হয়েছিল ৫ জঙ্গিও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী টুইটারে জানান, ‘যাঁরা ভারতের গণতন্ত্রের মন্দিরকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন, আমরা তাঁদের স্যালুট করছি। তাঁদের বলিদান আমাদের স্মৃতিতে চিরকাল থেকে যাবে।’ শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সেদিন নিহত নিরাপত্তারক্ষীদের পরিজনরা।
এদিন সংসদ ভবন চত্বরে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, যে শহিদরা গণতন্ত্রের বৃহত্তম পীঠস্থানকে রক্ষা করতে গিয়ে চরম বলিদান দিয়েছেন, দেশ তাঁদের কখনওই ভুলে যাবে না। অন্যদিকে, প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি জানান, এই দিন বার বার মনে করিয়ে দেয় যে সন্ত্রাসের কালো দিনের অবসান আজও হয়নি।