বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৮ ডিসেম্বর ৷৷ অল ত্রিপুরা গভরমেন্ট ডাক্তার এসোসিয়েশান দক্ষিণ ত্রিপুরা কমিটির উদ্যোগে শান্তিরবাজার থানায় এক ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। গত ২৪শে ডিসেম্বর বীরচন্দ্রমনু শহীদ মেমোরিয়াল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসিড খাওয়া এক রোগির আত্মীয় পরিজন দ্বারা আক্রান্ত হয় ডাঃ নয়ন দাস। দু’জন মিলে ডাঃ নয়ন দাসকে মারতে মারতে কোয়াটার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। এই আক্রমনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত ২৬ তারিখ ঐ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইন-চার্জ ডাঃ অজয় বিশ্বাস শান্তিরবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ভাবে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর আক্রমনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিকেলে শান্তিরবাজার থানার দারস্ত হন অল ত্রিপুরা গভরমেন্ট ডাক্তার এসোসিয়েশান দক্ষিণ ত্রিপুরা কমিটির ডাক্তারগণ। এই ব্যাপারে শান্তিরবাজার থানার ওসি নারায়ণ সাহার নিকট কথোপকথনের পর সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে সমস্ত ঘটনার বিবরন তুলে ধরেন। ডাক্তারদের প্রধান দাবি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। এই শাস্তি যেন ত্রিপুরার বুকে উদাহরন সরূপ হয়ে থাকে যাতে করে অন্যান্য সময় কেউ এইভাবে কর্তব্যরত চিকিৎসকের গায়ে হাত উঠাতে ভাবনা চিন্তা করে বলে জানান তারা। ত্রিপুরা রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিনিয়ত এইভাবে ডাক্তারদের উপর অত্যাচার সংগঠিত হয়ে আসছে। ডাক্তারদের প্রধান দাবী আইনকে আরো শক্ত হতে হবে। যাতে করে এইভাবে ডাক্তারদের উপর অন্যায় অত্যাচার বন্ধ করা হয়। ডাঃ নয়ন দাসের উপর এইভাবে আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানান ডাক্তার মহল। এই ব্যাপারে গত ২৬শে ডিসেম্বর উনাদের কেন্দ্রীয় কমিটির টিম ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দারস্ত হন। শুক্রবার শান্তিরবাজার থানার ওসি নারায়ন সাহা জানান, এই ঘটনায় এক দোষী করেন্দর রিয়াংকে গ্রেপ্তার করেন ও আগামী কিছু সময়ের মধ্যে অপরজনকেও গ্রেপ্তার করবেন বলে আসস্ত করেন। এই ডেপুটেশানে উপস্থিত ছিলেন অল ত্রিপুরা গভরমেন্ট ডাক্তার এসোসিয়েশান দক্ষিণ ত্রিপুরা কমিটির সভাপতি ডাঃ শান্তুনু দাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ সুশান্ত সাহা, এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ দেবজ্যোতি মজুমদার, ডাঃ অতুনু সরকার, ডাঃ জে এস রিয়াং প্রমুখ।