বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১২ জানুয়ারি ৷৷ শান্তিপূর্নভাবে পরিসমাপ্তি হলো তিন দিন ব্যাপী পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসব-২০১৯। শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত জোলাইবাড়ী পশ্চিম পিলাক দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এই মেলার শুভ সূচনা হয় গত ৮ ই জানুয়ারী। বৃহস্পতিবার ছিলো মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠান। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলার আহব্বায়ক তথা শান্তিরবাজার মহকুমা শাসক অনিমেষ দেবর্বমা, বগাফা এগ্রিকালচারের এস এ দেবাশিষ পাল, জোলাইবাড়ী ব্লকের এগ্রি স্টেন্ডিং কমিটির সভাপতি বিকাশ বৈদ্য, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাপস দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী পুলক ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা জানান ১৯৯৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর এই পিলাক মেলার শুভারম্ভ হয়। বক্তারা উনাদের বক্তবের মধ্যদিয়ে জানান, ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এই পিলাককে একটি পেকেজের আওতায় আনবে বলে পতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাতে করে বিদেশি পর্যটকরা খুব সহজে এই পেকেজের আওতায় পিলাক ভ্রমন করতে পারবেন। অপরদিকে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে পিলাককে উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন যা সবগুলি পালন করবে বলে পতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্য শেষে মেলায় দেওয়া সরকারি বিভিন্ন স্টলের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধীকারির মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এবারকার পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসবের স্টলের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এগ্রিকালচার। দ্বিতীয়স্থান অধিকার করেছেন জোলাইবাড়ী আর ডি ব্লক ও যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন আরকেলোজিকেল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও পি ডাব্লিও ডি। অনুষ্ঠানে রাতব্যাপী চলে বিভিন্ন প্রকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।