তৈরি হলো স্বয়ংক্রিয় গুলি

plnঅবশেষে সফল হলো মার্কিন বাহিনী। তাদের দীর্ঘদিনের চেষ্টা ছিল স্বয়ংক্রিয় গুলি তৈরির জন্য। সে চেষ্টা সফল হয়েছে। তবে এ গুলি শুধু স্নাইপাররাই ব্যবহার করতে পারবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পয়েন্ট ৫০ ক্যালিবারের এ গুলি মধ্যাকাশে থাকাকালীন গতিপথ পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। এতদিন স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র বলতে শুধু মিসাইলকেই বোঝানো হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডিএআরপিএ) সম্প্রতি এ স্বয়ংক্রিয় গুলি পরীক্ষার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে একদল দক্ষ স্নাইপার পয়েন্ট ৫০ ক্যালিবারের এই গুলি পরীক্ষা করে দেখছে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, গুলি ছুড়ে দেয়ার পর মধ্যাকাশে থাকা অবস্থাতেই চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে গতি পরিবর্তন করে আঘাত হেনেছে গুলি।
ডিএআরপিএ’র মতে, সেনাবাহিনীর স্নাইপারদের জন্য চলন্ত বস্তুকে নিশানা বানানো খুব সহজ কাজ নয়। কারণ ভারি বাতাস এবং ধুলিময় পরিস্থিতিতে নিশানা ঠিক রাখা সহজ কাজ নয়। বর্তমান প্রযুক্তি খাটিয়ে এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা যাবে। দ্রুতগতির লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে নিশানা করা স্নাইপারদের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয়।
তারা আরো জানায়, প্রথম সুযোগেই যদি লক্ষ্যভেদ না করা যায় তাহলে গোটা পরিস্তিতি পাল্টে যেতে পারে। তবে এই গুলিগুলোকে অপটিক্যাল সাইটিং টেকনোলজি ব্যবহার করার কারণে রাত এবং দিন উভয় সময়েই নিখুতভাবে লক্ষ্যভেদ করা যাবে।
বর্তমানে সবচেয়ে নিখুতভাবে লক্ষ্যভেদকারী হলেন যুক্তরাজ্যের করপোরাল ক্রেইগ হ্যারিসন। তিনি ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় দেড় মাইল দূর থেকে মাত্র এক গুলিতে দুইজন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন।
হ্যারিসন যে বন্দুকটি ব্যবহার করেছিলেন সেটার স্বাভাবিক রেঞ্জের চেয়ে লক্ষ্যবস্তু দূরে থাকার পরেও নিখুঁতভাবে নিশানা করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*