মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হেনস্তার শিকার ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্ব উন্নয়ন বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেবযানী গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার ও বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালানোর মাধ্যমে হেনস্তা করার বিষয়ে কথা বলেন। এর এক সপ্তাহ পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো তাকে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেননি দেবযানী। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হলো।
সূত্র বলছে, বিনাঅনুমতিতে এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলায় দেবযানীকে অব্যাহতি দেয়ার একমাত্র কারণ নয়। দেবযানীর মেয়েদের মার্কিন পাসপোর্ট থাকার বিষয়টি গোপন করাও অব্যাহতির অন্যতম কারণ।
তবে দেবযানীর সন্তানদের মার্কিন পাসপোর্ট থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন দেবযানী।
এনডিটিভির সঙ্গে আলাপকালে দেবযানী বলেছিলেন, সংবাদপত্রে কিছু মিথ্যা প্রতিবেদন এসেছে যে, আমার সন্তানদের পাসপোর্ট নিয়ে অবৈধ কিছু একটা ঘটেছে। তাদের মার্কিন পাসপোর্ট থাকার বিষয়টি আমি গোপন করেছি। কিন্তু এর কিছুই আসলে ঘটেনি। আমি সরকারকে জানিয়েছি, আমার সন্তানদের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে এবং তারা মার্কিন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত।
দুই মেয়ের জননী দেবযানী ১৯৯৯ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। গৃহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউইয়র্কে গ্রেফতারের পর তাকে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালানো হয়।
এ ঘটনায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। সে সময় দেবযানী ও ভারত সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে দেবযানীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।