স্পোর্টস ডেস্ক ।। লিওনেল আন্দ্রেস মেসি নাম মানেই ফুটবলের জাদুকরই নয় নানা রেকর্ডের জাদুকর এখন তিনিই। উইরোপ সেরা, বিশ্বকাপ সেরা, বর্সসেরা, ক্লাব সেরা আরও কত উপমা দিন দিন যুক্ত হচ্ছে এই একটি নামের পিছনে।
সমালোচকরা এক সময় বলত সেমির ধার হারিয়ে ফেলেছেন। মেসিময় যুগ আর আসবে না। তার পায়ে আর গোল নেই এবার মেসি তাদের জবাবটা ভালোভাবেই দিলেন। ২০১৪ সালটিও হইল মেসিময় বছর। যাইহোক সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগায় বিবর্ণ আর কক্ষচ্যুত মনে হয়েছিল বার্সাকে। শিরোপা দৌঁড় থেকে শুরুতেই যেন বিচ্যুত হয়ে পড়ে কাতালনিয়ার জায়ান্টরা!
কিন্তু না- সেখানেই থেমে থাকেনি বার্সেলোনা, থেমে যায়নি মেসিও। নিজের সেরা রূপে না হোক আবারো ম্যাচজয়ী হিসেবে আর্বিভূত হন মেসি। গোলের পর গোল করে চলেন। এক পর্যায়ে চার ম্যাচে তিন হ্যাটট্রিকও তুলে নেন টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবরার।
এর আগে চোটে ভুগেও বছরের শুরুতে বেশ কিছু গোল করেছিলেন মেসি। তাতে ২০১৪ বছর শেষে এমএলটেনের নামের পাশে ৬৬ ম্যাচে ৫৮ গোল ও ২২টি অ্যাসিস্ট। দেশ ও ক্লাবের হয়েই এই কৃতিত্ব দেখান মেসি। বার্সার হয়ে ৫২ আর আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেন ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকর।
ব্যক্তিগত অর্জনের পালায় মেসি এই বছর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন। বিলবাও কিংবদন্তি তেলমো জারাকে ছাপিয়ে হয়েছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা, রাউল গঞ্জালেসকে পেছনে ফেলে একই কীর্তি স্থাপন করেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও। নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা পারফরমার, জিতেছেন ফিফা গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া মেসি।
লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচ্চিত্তিনির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন। একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি লা লিগা ক্লাব বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক। মাত্র ২১ বছর বয়সেই মেসি বালোঁ দ’অর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দুটির জন্য মনোনীত হন। পরের বছর তিনি প্রথমবারের মত বালোঁ দ’অর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। এর পরে এগিয়েই যান শুধু মেসিময় ছন্দেই।