অসিদের বিপক্ষে গেল দু‘টেস্টে মাঠের ভিতরের উত্তেজনা শুরু হয়ে গেল মাঠের বাইরেও৷ ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট হেরে আম্পায়ারিং নিয়ে তোপ দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ তিনি বলেছিলেন, ‘৫০-৫০ সিদ্ধান্তগুলোর একটাও আমাদের পক্ষে যায়নি৷’
যার পাল্টা হিসেবে ধোনিকে বিঁধতে ছাড়লেন না অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার, অ্যাডিলেড টেস্ট জয়ের নায়ক নাথান লায়ন৷ বলেছেন, ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুব জরুরি৷ তা ছাড়া আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়৷ ডিআরএস ব্যবহার না করার দায় ভারতকেই নিতে হবে৷ ধোনি আম্পায়ারদের দোষ দিয়ে ঠিক করছে না৷’
এ সবের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় জোড়া টেস্ট হারের মধ্যেই টিমের ইতিবাচক দিক খোঁজার চেষ্টা করছেন ধোনি৷ বিদেশের মাঠে টেস্ট খেলে তরুণ ক্রিকেটাররা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন, সেটাই প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি৷ বলেছেন, ‘তরুণ ক্রিকেটাররা যত বেশি ম্যাচ খেলবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে৷ এর কোনও বিকল্প নেই৷’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘বেশি ম্যাচ না খেললে কোনও দিন অভিজ্ঞতা বাড়বে না৷
যদি প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্ট বিচার করে দেখেন, দুটো টেস্টেই ২০ মিনিট খারাপ ব্যাটিং করার জন্য আমাদের মাশুল দিতে হয়েছে৷ তার ফল পড়েছে টেস্ট ম্যাচে৷ এটা আমাদের পরের টেস্টগুলোয় সামলাতে হবে৷ যত বেশি বিদেশে খেলব, তত লাভ হবে৷’
অভিজ্ঞতাও পিছিয়ে থাকলেও ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে রীতিমতো সন্ত্তষ্ট ধোনি৷ বলতে দ্বিধা করেননি, ‘অভিজ্ঞতা তো এক দিনে আসে না৷ আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিকতা বেশ ভালো৷ ফলাফল যাই হোক, যে পথে এগোচ্ছি, আমাদের সে পথেই এগোতে হবে৷ ফলের দিকে ফোকাস না করে আমরা এখন যে পদ্ধতিতেই খেলার দিকেই নজর দিচ্ছি৷ সেটাই ভালো হবে৷’ টিমের ভালো দিকের সঙ্গে ব্যর্থতাও ঢাকতে চাইছেন না ধোনি৷
বিশেষ করে অ্যাডিলেড আর ব্রিসবেনে কী সমস্যা হয়েছিল, তা-ও উঠে এসেছে ধোনির কথায়৷ বলেছেন, ‘আমাদের পরিস্থিতিগুলো আরও ভালো ভাবে সামলাতে হবে৷ আমার মনে হয় প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ৷ আমার মনে হয় না, এই জায়গাটা একেবারেই ভালো ভাবে সামলাতে পারিনি৷’ বেশ কয়েকটা বড় পার্টনারশিপ দরকার বলেও মনে করেন ধোনি৷
আবার নাথান লায়ন মনে করেন, মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট নিয়ে দু’টিমের মধ্যে প্রচুর আবেগ রয়েছে৷ আর সেটা যেন মাঠে প্রভাব না পড়ে তার জন্য অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দু’টিমের ক্রিকেটারদের উচিত, নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলা৷