পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি সেনা স্কুলে সম্প্রতি হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এরপর রক্তের যে বন্যা সেখানে বয়ে গেছে তা দেখে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেছেন সুধীসমাজ। রক্ত আর শোকের ছায়া সরতে না সরতেই আবারো হামলার হুমকি দেয় তালেবান জঙ্গিরা।
হামলার শিকার স্কুলটিতে সেনা অভিযান চালানো হয়। সেখানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। কিন্তু যা যাওয়া তা চলে গেছে। যাদের যাওয়ার তাদেরই গেছে, আর কারো হয়তো কিছু হয়নি।
শোকের এ বাতাসে কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে মানুষ! মানবতার ধর্ম এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে? স্কুলটিতে যখন জঙ্গি হামলা হয় তখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিল। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রবেশের প্রায় আধা ঘণ্টা পরই সেখানে পাকিস্তানের সেনা সদস্যরা পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
হামলার ঘটনার পর এক বিবৃতিতে পাকিস্তান তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খুরসানি জানান, পেশোয়ারে যে হামলা তারা চালিয়েছিল তা ন্যায্য। কেননা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তালেবান যোদ্ধাদের স্বজন ও সন্তানদের হত্যা করে আসছে।
তিনি আরো জানান, এ ধরনের আরো হামলা চালানো হবে। হামলা থেকে রক্ষা পেতে পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের দেশটির সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এবার তালেবানদের টার্গেট গণমাধ্যমক। পাকিস্তানের তালেবান গোষ্ঠি তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) হুমকি দিয়ে এবার গণমাধ্যমকে। দলটির মুখপাত্র মোহাম্মদ খুরাসানি বলেছেন, গত দু’দিনে তার সংগঠনের ১২০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সোমবার দিনশেষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে খুরাসানি টিটিপি’র এই ক্ষয়ক্ষতিকে আমল না দেয়ার জন্য গণমাধ্যম এবং বুদ্ধিজীবীদেরকে দোষারোপ করেন।
নিরাপত্তা বাহিনীকে সমর্থন দেয়ার জন্য গণমাধ্যমকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেন তিনি।