রাজ্য জুড়ে ক্রিসমাসের আনন্দ উচ্ছাস

x-masদেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর ।। বিশ্ব শান্তি আর মানব কল্যানের শ্বাশ্বত বানী প্রচারের জন্য পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছিলেন ঈশ্বরের দূত প্রভু যীশু। জন্মলগ্নেই ছিল ঐশ্বরিক দ্যুতির বিচ্ছুরন। বেথেলেহেমের এক গো-শালায় জন্মেছিলেন যীশু। মায়ের নাম মেরী আর পিতার নাম যোশেফ। প্রভু যীশুর জন্মলগ্নে চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব, জন্মের পরমুহূর্তেই মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়েছিল আলোর বিকিরন। শৈশব, কৈশোরেই মানবতার বার্তা ছড়ানোর কাজ সম্পৃক্ত হয়েছিলেন ফলে বহু মানুষ তাঁর প্রতি আকর্ষণ আর শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে। যীশুর এই কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে একদল ভন্ড ভেকধারী প্রবঞ্চক, কালক্রমে মানুষের মিথ্যে অভিযোগে যীশুকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়। জীবনের চরমতম কষ্টের মুহূর্তেও যীশুর মুখে ধ্বনিত হয়েছে মানবতার বানী – পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়। মানবরুপী সেই ভগবান মহান যীশুর পূণ্য জন্মতিথিতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে রাজ্যের খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষরা গীর্জায় গীর্জায় সমবেত প্রার্থনায় বিশ্বজুড়ে হানাহানি বঙ্গের প্রার্থনা করেছেন। সুসজ্জিত গীর্জা আলোর বন্যায় উদ্ভাসিত হয়েছে। সান্টাক্লজ চকলেট বিতরন করছে আর যীশুর জন্মদিনে খ্রীষ্ট ধর্মের মানুষরা হর্ষ, উল্লাসে কেক কেটেছেন – আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা ক্রিসমাসে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন। যীশুর জন্মদিনে খ্রীষ্ট ধর্মের উপাসকদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মের মানুষরাও অংশ দিয়েছেন ক্রিসমাস উৎসবে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*