পাইলটবিহীন বিমানবন্দর

bmবিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করছে। অথচ বিমানে কোনো পাইলট নেই। বিমানবন্দর চত্বর ঘুরেও কোনো পাইলট পাওয়া যাবে না। খুব আশ্চর্য মনে হচ্ছে, না? আজকের প্রযুক্তিই যে আসলে আশ্চর্যের। তাই নানা আশ্চর্য আশ্চর্য সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে এ প্রযুক্তি।
বিশ্বাস হোক বা না হোক, এবার একটি গোপন বিমানবন্দর তৈরি হতে চলেছে। সেখানে ওঠানামা করবে চালকবিহীন বিমান ড্রোন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সামরিক এলাকা ফোর্ট ব্লিসে প্রথম ড্রোন এয়ারপোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ জন্য ৩৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও করা হয়েছে।
এখানে তৈরি করা হবে মানুষ ছাড়াই ড্রোন উড্ডয়ন ও সংস্কারে ১৫০ একর দীর্ঘ কমপ্লেক্স। থাকবে পাঁচ মাইল দীর্ঘ রানওয়ে, বিমান সংরক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা। মার্কিন সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এ বিমানবন্দরে থাকবে ড্রোন রক্ষণাবেক্ষণ, পানি ও তেল পৃথককরণ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কার্যালয়, এয়ারক্রাফট কনটেইনার, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, বর্জ্য ব্যব¯’াপনা এবং পার্কিংয়ের যাবতীয় সুবিধা।
ড্রোন মেরামতে এ কমপ্লেক্সে নির্মিত হবে ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের হ্যাঙ্গার। মার্কিন সেনাবাহিনীর গ্রে ঈগল ও শ্যাডোথ দু’ধরনের ড্রোনই এখানে ওঠানামা করবে। অপেক্ষাকৃত বড় গ্রে ঈগলের জন্য পাঁচ হাজার ফুট ও শ্যাডো ড্রোনের জন্য এক হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে থাকবে।
এর চারপাশে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং আকাশসীমাও হবে সংরক্ষিত।
ফোর্ট ব্লিস হলো মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি, যেটি অ্যাপাচি ও ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সামরিক যানে সজ্জিত। যুদ্ধাস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলনের জায়গাও এটি। আর ২৯ ফুট দীর্ঘ গ্রে ঈগল মার্কিন সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় ড্রোন, যা গোয়েন্দাগিরি, পর্যবেক্ষণ, আক্রমণ, অস্ত্র চিহ্নিতকরণ ও ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করা হয়।
এর ডানার ব্যাপ্তি ৫৬ ফুট। এ ড্রোন ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় দুইশ’ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে একটানা ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চলাচলে সক্ষম। সূত্র : মেইল অনলাইন

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*