খেলার মাঠের ভারতের বিরাট কোহলি ও অসি বোলার জনসনের মধ্যে যা হয়েছে তা হয়তো এর আগেই সবাই জেনে গেছেন। তবে তাদের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক আগারকার ও অসিদের সাবেক অধিনায়ক চ্যাপেল।
ঘটনার দিন জনসন বললেন, মাঠের স্লেজিং তার পছন্দ। এটা ছাড়তে চান না। কারণ উপভোগ করেন। এরপর জনসনের সাথে চলমান বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করতে থাকা বিরাট কোহলির নানা কথা চালাচালি হয়।
এরপর প্রেস কনফারেন্সে বিরাট বলেন, জনসনের জন্য তার মনে কোনো শ্রদ্ধা নেই। ১৬৯ রান করা কোহলি ব্যাটের পর মুখেও কথা বলতে শুরু করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। ভারতের সাবেক খেলোয়াড় অজিত আগারকার তীব্র সমালোচনা করেছেন কোহলির।
আর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলেছেন, ক্রিকেটে স্লেজিং ক্ষতিকর।
চতুর্থ দিনে ব্যাট করেছেন মিচেল জনসনও। কোহলিসহ ভারতীয় দলের সাথে রাগান্বিত কথার আদান প্রদান হয়েছে। তিনি আউট হবার পর ভারতীয়দের কাছ থেকে এসেছে আরো রাগার মতো কথাবার্তা। তাতে যেতে যেতে থেমে গিয়ে কিছু একটা বলেছেন রাগান্বিত জনসন।
আর এসব দেখেশুনে হতাশ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলেছেন, “মাঠে খেলোয়াড়দের বেশি কথা বেশি করে ব্যক্তিগত জায়গায় আঘাত হানার সুযোগ সৃষ্টি করে। আর ভুল সময়ে ব্যক্তিগত কিছু নিয়ে কথা বললে তা লড়াইয়ের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।”
অজিত আগারকার কোহলির সমালোচনা করে বলেছেন, “একটা সংবাদ সম্মেলনে কোনো খেলোয়াড়ের এমস কথা বলা তার অপরিণত মস্তিস্কের পরিচয় দেয়। সে তো ব্যাট দিয়ে কথা বলেছে। অন্য উপায়ে কথা বলার দরকার নেই আর।” এ ধরনের অভ্যাস কোহলির ত্যাগ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন আগারকার।
অন্যদিকে চ্যাপেলের কন্ঠে ছিল বন্ধুত্বের সুর। কোনো ধরনের বিরোধ-বিবাদে না জড়ানোর জন্যই তার পরামর্শ। উল্লেখ্য মাঠে কোহলির সাথে জনসনের কথা কাটাকাটি হয়। কোহলি জনসনের বিরুদ্ধে তার গায়ে বল ছুড়ে মারার অভিযোগ আনেন।