বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি

bngবেঙ্গালুরু, ২৯ ডিসেম্বর ।। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি। প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিজনৌর, পুণে এবং চেন্নাই মডেলের ছকেই বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অনেক বেশি স্প্লিন্টার ব্যবহৃত হয়েছে বলে তদন্তে নেমে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী বিস্ফোরণের সঙ্গে সিমির যোগাযোগ আরও স্পষ্ট করেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। সিমি জঙ্গিদের শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর বেলারি হাসপাতাল চত্বরে দেখা গিয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। রবিবার রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
প্রাথমিক অনুমান আইইডি দিয়েই ঘটানো হয়েছে বিস্ফোরণ। তবে বিস্ফোরণে টাইমার ব্যাবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এনআইএ সম্ভবত বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের তদন্তের দায়িত্ব নিতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিজিজু আজ এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল বেঙ্গালুরুর এমজি রোডের ব্যস্ত চার্চ স্ট্রিটে কোকোনাট গ্রোভ রেস্তোরাঁর সামনে কম ক্ষমতার একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা। আহত তাঁর ভাইপো।
সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণের জেরে বেঙ্গালুরু পুলিস নতুন বছরের প্রথম দিনের আগের রাত ১টার মধ্যে শহরের সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ছুটির মরসুমে শহরে পরবর্তী কোনও হামলা রোধ করতে পুলিস প্যাট্রলিং শুরু হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে যে আইইডিটি বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভর্তি ছিল। রাস্তায় নর্দমার পাশে টাইমার সহ বিস্ফোরকটি রাখা ছিল। বিস্ফোরণে মারা গেছেন চেন্নাই নিবাসী ৩৮ বছরের ভবানী নামের এক মহিলার। ছুটি কাটাতে কর্ণাটকের রাজধানীতে এসেছিলেন তিনি। আহত হয়েছেন তাঁর ভাইপো কার্তিক।
শহরজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। শহরের রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস বাহিনী। ধারাবাহিক বিস্ফোরণের আশঙ্কাও বাদ দিচ্ছে না প্রশাসন। – জি নিউজ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*