তারুণ্যের এ বয়সটাতেই থাকে মানুষের কর্মস্পৃহা। কাজের প্রতি মানুষকে জাগিয়ে দিতে পারে এ বয়স। আর তাই এ বয়সটাকে কাজে লাগাতে ফেসবুক তার তরুণ কর্মীদের কাজের স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে চায়।
তারা চায় তরুণ কর্মীরা ভবিষ্যতে নেতৃত্বে উঠে আসুক। এ জন্য অপ্রচলিত একটি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দিকেই হাঁটল সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কর্মী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু নতুন নিয়ম-নীতি গ্রহণ করেছে, যাতে কর্মীরা স্বাধীনচেতা হয়ে কাজ করতে পারবেন। ফেসবুক আলোচনাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করছে।
এতে একেবারে প্রবেশিকা স্তরের কর্মীরাও তাদের ব্যবস্থাপককে প্রশ্ন করতে পারবেন। নিজের কাছে কোনো বিষয়ের সমাধান থাকলে তা জানাতে পারবেন এবং ব্যবস্থাপকের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারবেন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে ব্যবস্থাপক ও কর্মীর মধ্যে সম্পর্ক আদেশ দেয়া ও পালন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখন থেকে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের কাজ হবে তার কর্মীদের নিজস্ব লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথ সুগম করে দেয়া।
এছাড়া কর্মীদের যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও লক্ষ্য বিবেচনা করে নিয়মিত দায়িত্ব পরিবর্তন করবে ফেসবুক। এ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করলে কর্মীরা নিজের কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং কাজের মানও ভালো হবে বলে আশা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল.