এবার গোয়েন্দার ভূমিকায় মাছি

machiআন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। গোয়েন্দার কাজে কুকুর – মাছ ব্যবহারের কথা শুনে থাকবেন হয়তো কিন্তু কখনো শুনেছেন কি মাছির ব্যবহার। না শুনায় স্বাভাবিক। কারণ গোয়েন্দার কাজে এ ধরনের পতঙ্গের ব্যবহারের কোন নজির নেই। আসলে মার্কিন সেনার গবেষকেরা মাছির মতো দেখতে একটি রোবট তৈরি করছেন। তাদের মতে এই ধরণের ক্ষুদ্র রোবট শত্রু পক্ষের অন্দরে গোয়েন্দাগিরি চালাবে।
মার্কিন সেনার অনুসন্ধান গবেষণাগারে ডক্টর রোন পোল্কাবিচ ও তার দল মাত্র তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার উচ্চতার দুটি ছোট বোরট বানিয়েছেন। এই ছোট রোবট ২টি লেড ডিরকোনিয়ম টাইটেনেট দিয়ে তৈরি।
পোল্কাবিচ জানিয়েছেন, তারা এই রোবট ২টি ওড়াতে সক্ষম হয়েছেন। সে কারণেই তারা নিশ্চিত এই আকারের রোবট উড়তে পারবে।
এর আগে আমেরিকান নেভি এবার গোয়েন্দাগিরিতে নামিয়েছে মাছকে। তা-ও আবার যে সে মাছ নয়, এক্কেবারে রোবট মাছ! ব্লুফিন টুনা মাছের আদলে গড়া হয়েছে প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা এই টুনা মাছ।
এতখানি পড়ে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, কী কী কাজ করবে এই রোবট মাছ? আরে কী করবে না, তা জিজ্ঞেস করুন।
কখন শত্রু পানিসীমায় প্রবেশ করল, শত্রু জাহাজের গতিবিধি কী হবে, উপকূলবর্তী এলাকায় কখন কী চলছে না চলছে, জাহাজের সংকেত সব বিষয়েই পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি রাখবে সে। আর সে খবর নেভিতে পাঠাবে এই রোবট মাছ।
আর শুধু তা-ই নয়, যদি রোবট মাছটিতে আরো একটু বেশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তাহলে সমুদ্রের স্রোত, জোয়ার ভাঁটা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, কারেন্টের ব্যাপারগুলো সম্পর্কেও আগাম সতর্কতা পাওয়া যাবে বলে গবেষক মহলের একাংশের দাবি।
এই যন্ত্র মাছটি নড়াচড়া করতে পারে, তার লেজও রয়েছে এবং প্রয়োজনে তার গতিও আপাতত বাড়ানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন নেভি অফিসার জেরি লেডেম্যানই এই পুরো প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে
রয়েছেন। তার মতে অবশ্য এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীতে এতদিন ধরে চলে আসা নানা বিবর্তনকে শুধুমাত্র যন্ত্রবন্দি করার প্রয়াসই আমরা করছি। এখন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত এই প্রয়াস কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারে, তার জন্য আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।-ইন্টারনেট

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*