স্পোর্টস ডেস্ক, ৩০ ডিসেম্বর ।। এমসিজি টেস্ট শেষপর্যন্ত অসিদের বিপক্ষে মান রক্ষা করল ভারত৷ চতুর্থ দিনের শেষে ৩২৬ রানের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৬১ রান তোলে অজিরা। ৬২ রানে শন মার্শ ও আট রানে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন রায়ান হ্যারিস৷ মঙ্গলবার সকালে ম্যাচ শুরু হওয়ার পরেই বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে ৷ বৃষ্টি থামায় ফের শুরু হয় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই৷
এদিন মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি মাঠেই রেখে আসতে হয় মার্শকে৷ ৯৯ রানে তাকে রান আউট করেন বিরাট কোহলি৷ অন্যদিকে হ্যারিসও ২১ রান করে আউট হয়ে যান৷ মহম্মদ শামির বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দেন তিনি৷ ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া৷
রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানেই তিন উইকেট হারায় ভারত৷ দলের দুই ওপেনার মুরলী বিজয় (১১) ও শিখর ধাওয়ান (০) রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন৷ এরপর লোকেশ রাহুল ক্রিজে আসেন৷ তিনি বিদায় নেন ১ রানে। মিচেল জনসনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি৷
এর পরে ভারতের পক্ষে সহজেই ম্যাচ জয়ের আসা জাগিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রায়ানে। কিন্তু বিরাট কোহলি ৫৪ রানে হ্যারিসের বলে বুমসের কাছে ক্যাস দিয়ে বিদায় নিলেই ভিন্ন দিকে মোড় নেয় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
কোহলির বিদায়ের পর মাঠে নামেন পূজারা। তিনি ৭০ বল মোকাবেলা করে ভালই রক্ষণশীলতার পরিচয় দিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৪১ ও ব্যক্তিগত মাত্র ২১ রানে বিদায় নেন তিনি। এর পর দলীয় মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রানে পিছিয়ে থেকে প্যাবিলিওনে ফেরেন অজিঙ্কা রায়ানে।
ধোনি ব্যাট হাতে নেমে অন্তত হতাশ করেন নি। যেখানে হার সেখানে ড্র করে মাঠ ছাড়েন অশ্বিনকে নিয়ে। ক্রিকেট যে অনিশ্চিয়তার খেলা এ ম্যাচই এর উদাহরণ। আর ধোনি ২৪ রানে নট আউট ছিলেন।
কখেনো ম্যাচ গড়িয়েছে অসিদের অনুকূলে আবার আশা জাগিয়েছে ভারতীয়রা। আর শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচটি ড্র হলো। আগামী ৬ তারিখ সিডনিতে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দু’দেশ৷