সব বাধা-রেকর্ড টপকে বলিউডে নাম্বার ওয়ান ‘পিকে’

pk.পিকে যে সব কিছুকে চুরমার করে সকলের প্রত্যাশাকে ছড়িয়ে এমন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে তা হয়তো কখনো কল্পনাও করেন নি আমির খান, অনুষ্কা শর্মা এমনকি হিরানিও । আমির খান শাহরুখের টনিক হ্যাপি নিউ ইয়ারকে পেছনে ফেলবেন যা ছিল ধারনার বাইরে। কিন্তু ব্যবসায়িক সফল্যে ৫ নম্বরে থাকা শাহরুখের এই টনিকই নয় এর আগের অবস্থান করা অন্যসব সিনেমাকেও ছাড়িয়ে স্বপ্ন রাজ্যে ছুটছে পিকে।
হাত ধরে বলিউডের ইতিহাসে বক্সঅফিসে ব্যবসার নিরিখে সব রেকর্ড ভেঙে পিকে-এখন এক নম্বরে। ভারতে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পিকে-র পকেটে জমা পড়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। ৩০০ কোটির সীমানা ছুঁতে আর প্রয়োজন মাত্র ১৫ কোটি।
এর আগে বক্সঅফিস থেকে সবথেকে বেশি টাকা কামিয়েছিল আমিরেরই সিনেমা ধুম থ্রি। ১০০ কোটির মুড়ি মুড়কির যুগে ব্যবসার নিরিখে সেরা পাঁচের প্রথম দুটিই আমিরের। তিন নম্বরে আছে সল্লু মিঞার কিক (২৩৩ কোটি), চারে শাহরুখের চেন্নাই এক্সপ্রেস (২২৭ কোটি), পাঁচেও শাহরুখের ২০১৪ সালের রিলিজ হ্যাপি নিউ ইয়ার।
ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে গতি প্রকৃতি যা বলছে রবিবারের মধ্যে ৩০০ কোটির বেঞ্চমার্ক ছুঁয়ে ফেলবে পিকে। রাজকুমার হিরানির নয়া ব্লকবাস্টারের পোস্টার রিলিজের সময় থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে। প্রাথমিকভাবে পিকে-র পোস্টার নিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠে।
একটি আদালতে মামলাও করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। তবে ধোপে টেকেনি সেই অভিযোগ।
সিনেমা রিলিজের পর শুরু হয় অন্য বিতর্ক। হিন্দু ধর্মাবেগে আঘাত হানছে এই সিনেমা, এই অভিযোগ এনে সেন্সার বোর্ডে পিকে-কে ব্যান করার অনুরোধ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুজরাট ও মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সিনেমা হলে ভাংচুর চালানো হয়।
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামী অভিযোগ করেন পিকে-র পিছনে নাকি টাকা ঢেলেছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস। তবে গেরুয়া বাহিনীর সব অভিযোগ,আপত্তি উল্টে পিকে-কে গুছিয়ে মাইলেজ দিয়েছে। বিতর্ক যত বেড়েছে সিনেমা হলে তত বেড়েছে দর্শক সংখ্যা।
পিকে তৈরি করতে মোটামুটি ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ভারতে একসঙ্গে ৪,০০০ হলে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। আর বিদেশের মাটিতে ১৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পিকে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*