তারায়-তারায় ডেস্ক ।। ভারতীয় উগ্রহিন্দু তথা মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হলেন নন্দিত অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। তারা এই অভিনেত্রীর বিশেষ ছবি বানিয়েছে। যেখানে কারিনার চেহারার একপাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছে নেকাবে, অন্যপাশে তার কপালে সিঁদুর দেয়া হয়েছে।
ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নারী অঙ্গ সংগঠন দূর্গা বাহিনীর মুখপত্র ‘হিমালয় ধ্বনি’র প্রচ্ছদে প্রকাশিত ওই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘ধর্মান্তরের নামে জাতীয়তা পরিবর্তন’।
কারিনাকে ওই সাময়িকীতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ‘লাভ জিহাদ’-এর ‘অপরাধে’ও। সংগঠনটির ভাষ্য, ‘লাভ জিহাদ’ হলো এমন এক ‘অপরাধ’, যেখানে মুসলমান পুরুষেরা হিন্দু নারীদের সঙ্গে প্রেমের পর বিয়ে করে তাদেরকে বাধ্য করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে।
‘যাব উই মেট’, ‘ওমকারা’র মতো জনপ্রিয় সিনেমার অভিনেত্রী কারিনা কাপুর পাঁচ বছর প্রেমের পর ২০১২ সালে বিয়ে করেন অভিনেতা সাইফ আলি খানকে। বিয়ের পর ধর্মান্তরিত না হলেও নিজের নামের শেষে খান উপাধি যুক্ত করেন তিনি।
দূর্গা বাহিনীর উত্তর ভারতের মুখপাত্র এবং সাময়িকীটির সম্পাদক রাজনি ঠাকরাল এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্থান টাইমস কে বলেন, “তিনি (কারিনা) একজন তারকা। তরুণসমাজ তারকাদের কাছ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়। তারা মনে করবে, যদি কারিনা এটা করতে পারে, তবে আমরা কেন পারবো না?”
অমর উজালা নামের আরেকটি হিন্দুত্ববাদী প্রকাশনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনি ঠাকরাল বলেন, “কারিনার মতো তারকারা আমাদের যুবসমাজকে প্রভাবিত করে। কারিনার বিয়ের সময় এই যুবসমাজই দাবি করেছিল তিনি ধর্মান্তরিত হবেন না, কেবল নামের শেষে খান উপাধি যুক্ত করবেন।
কিন্তু, কারিনাকে এরপর থেকে ইসলামের অনেক রীতিনীতি পালন করতে দেখা গেছে এবং এখন তিনি এক ধরনের দ্বৈত জীবন যাপন করছেন। তার পুরোপুরি ইসলাম গ্রহণ করা উচিৎ; এই ধরনের দ্বৈত আচরণ আমাদের যুবসমাজকে প্রভাবিত করছে।”
কারিনা এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া জানান নি। তবে সাইফ আলি খান তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। হিন্দুস্থান টাইমসকে তিনি বলেন, “এটা ভিত্তিহীন তবে আশ্চর্যজনক নয়। এই ধরনের অশিক্ষিত এবং ধর্মান্ধ চিন্তাভাবনাই ভারতের সবচেয়ে খারাপ দিক এবং এসব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা খুবই জরুরি।”
তথ্য : বিডি, হিন্দুস্তান টাইমস।