দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১০ জানুয়ারী ।। বিগত লোকসভা নির্বাচনের শোচনীয় দশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস, এর মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসকে সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সোনীয়া গান্ধীর নেতৃত্বে দল নতুন ভাবে লড়াই শুরু করার অংক কষলেও বাস্তব ক্রমেই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদেশে রাজ্যে কংগ্রেসের ইউনিট গুলো পরিচালিত হয় দিল্লীর কন্ট্রোল রুম থেকে। বিরোধীদলের নেতাই হোক কিংবা সভাপতি নির্বাচন সবটাই হয় দিল্লীর নির্দেশে।
ত্রিপুরায় বিরোধীদল হিসেবে কংগ্রেস সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারছে কিনা এ বিষয়ে নানা মহলে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা চলছে, তাঁর মধ্যেই দিল্লীতে মোদীর আগমনে রাজ্যের রাজনীতিও অন্যখাতে বইতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের প্রতি আস্থা হারিয়ে অনেকেই দল ছেড়েছেন কেউ জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি-তে যোগদান করতে। রাজ্যের রাজনীতিতে কোনো এক সময় কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা বলতেন বড় সংসারে ঝামেলা হওয়া অস্বাভাবিক নয়, দিন গড়িয়ে সেই কংগ্রেস কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে ?
ত্রিপুরার রাজনীতিতে কংগ্রেসের শক্তি নিংড়ে নিতে যখন বিজেপি নিভৃতে জমি দখলে ব্যস্ত ঠিক তেমন একটা কঠিন সময়ে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি পদে এলেন রাজ্যের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বীরজিৎ সিনহা – দিবার স্বপ্ন শেষ। রাজপরিবারের প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণ কে আশীষ কুমার সাহার সমমর্যাদার আসন দেয়া হয়েছে, সময় বলবে রাজনীতির লড়াইয়ে এতে কংগ্রেসের কি লাভ হয়।
তবে সঙ্কটকালে বীরজিৎ সিনহা সভাপতি হলেও কর্মী থেকে অনেক নেতাদের নিঃস্পৃহ মনোভাব এই পরিবর্তনের সঙ্গে অন্যকিছুর যোগসূত্রতার জানান দিচ্ছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বীরজিৎ বাবু কি পারবেন রাজ্য কংগ্রেসের জন্য বীরোচিত অধ্যায় সৃষ্টি করতে ?