নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জানুয়ারী ।। পৃথিবীতে চিকিৎসা ব্যবস্থা যখন অনুন্নত ছিল সে সময়ে নানা রোগে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হলেও জানার উপায় ছিলনা রোগের উৎস। দিনে দিনে চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি রোগ নির্ণয় অনেকটাই সহজসাধ্য হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ‘ডায়াবেটিস’ রোগ সম্পর্কে জনমানসে যে আতংক ছিল তাতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, চিকিৎসা, বিজ্ঞান চিকিৎস, গবেষকরা প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অভিমত ব্যক্তি থেকে পরিবারের জীবনশৈলী পরিবর্তন একান্ত জরুরী ডায়াবেটিসের ক্রমাগত বৃদ্ধি রোধ করতে গেলে। এই রোগের নানা ধরন রয়েছে, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়া মানেই মৃত্যু নয় বলেছেন চিকিৎসকরা, তবে দৈনন্দিন জীবনে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বিধি অবশ্যই পালন করতে হবে। বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিসের আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত দ্বিতীয়, চিন এক নম্বরে। ভারতে ডায়াবেটিস রোগের বৃদ্ধির প্রবনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে জানা গেছে ২০৩৫ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ কোটিতে পৌঁছুবে।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে ১০ই জানুয়ারী ডায়াবেটিস নিয়ে এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে অল ত্রিপুরা ডায়াবেটিক ফোরামের পক্ষ থেকে। রবিবার, অল ত্রিপুরা ডায়াবেটিক ফোরামের ১৭তম বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মহিলা কলেজের মাতঙ্গিনি প্রীতিলতা প্রেক্ষাগৃহে। সন্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বাস্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে চিকিৎসকরা মূল্যবান ভাষন রাখেন। ১৭তম বার্ষিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ডাঃ সুশান্ত কুমার সেন, সন্মানিত অতিথি হিসেবে কলকাতার স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ জে জে মুখার্জি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব এম নাগার্জুন সহ আন্যান্যরা।