আপডেট প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৩ জানুয়ারী || ব্রিটিশ শ্বাসনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার অন্যতম কাণ্ডারী তথা ভারতের বীর সন্তান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী গোটা রাজ্যের সাথে তেলিয়ামুড়া মহকুমা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল শনিবার। তেলিয়ামুড়া অন্যতম বনেদি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি নেতাজি নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় এই দিনটি। উক্ত মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক তথা এই বিদ্যালয়ের ডিডিও বিশ্বজিৎ দেববর্মা, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিহির সাহা সহ অন্যান্যরা।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দেববর্মা। এরপরই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ রায়। এরপর উপস্থিত সকলেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মর্মর মূর্তিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কল্যাণী রায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি নগর উচ্চ বিদ্যালয় কে “ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ফ্রী বিদ্যালয়” হিসেবে ঘোষণা করেন । তারপরই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিনা দেব স্ব-উদ্যোগে উনার বড় ভাই সুবোধ চন্দ্র দেবের নামে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে বিধায়িকার হাতে ৫০,০০০ টাকা দান করেন। এই বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে এবং দশম শ্রেণীতে কৃতিত্বের সাথে ভালো ফলাফল করা প্রথম দুজন ছাত্র ছাত্রীকে এই ট্রাস্টি বোর্ড প্রত্যেক বছর কিছু অর্থ প্রদান করবে, তাদের পড়াশোনার সাহায্যার্থে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিনা দেবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা।
তাছাড়া প্রধান অতিথির ভাষণে বিধায়িকা কল্যাণী রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেশে অনেক মনীষী রয়েছেন যাদের জন্ম জয়ন্তী এবং প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু সেই জায়গায় নেতাজি ব্যতিক্রম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালন করা হলেও প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় না। কারণ তিনি ভারতের বীর সন্তান হয় প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মনে শ্রেষ্ঠ আসন অধিকার করে আছেন।
তাছাড়া তেলিয়ামুড়া মহাকুমা প্রেসক্লাব, তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ, বিভিন্ন অফিস আদালত, বিভিন্ন বিদ্যালয়, বিভিন্ন সমাজসেবী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিভিন্ন জায়গায় এই মহান ব্যক্তির জন্ম জয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।