ফিফা ব্যালন ডি’অর ঘোষণা সোমবার, এগিয়ে রোনালদো

sprস্পোর্টস ডেস্ক ।। ১২ জানুয়ারী সোমবার, ফিফা সদর দপ্তর জুরিখ। সময়ের কাটা ঘুরে চলে এলো আবার। যেটি ঘিরে স্বপ্ন বুনেন পৃথিবীর তাবৎ ফুটবলাররা।
তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় থাকেন পৃথিবীর সকল ফুটবলপ্রেমীরাও। কারণ, এ দিনটিতে ঘোষণা করা হয় বছরের সেরা ফুটবলারটির নাম! জানা যায়, ফিফা ব্যালন ডি’অর মুকুটধারী ফুটবলারের নাম।
ফুটবল জগতের বহুল কাংকিত সেই দিনটি আজ। সোমবার বিকালে ফিফার সদর দপ্তর জুরিখে বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে স্বর্ণে খোদাই করা স্বারক।
বাছাই করা ২৩ ফুটবলারের তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়ে এখন ব্যালন ডি’অরের দাবিদার মাত্র তিনজন।
গত অর্ধযুগ ধরে যে দুটি নাম এই তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছিল অবধারিতভাবে, সপ্তম বছরে এসেও সেই দু’জন এবারও আছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির নামের সাথে ঠাই হয়েছে ম্যানুয়েল ন্যায়ারের নাম। বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের গোলরক্ষক ছিলেন ম্যানুয়েল ন্যায়ার।
অপেক্ষার পালা ঘুচাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। এরপর এই তিনজন থেকে মাত্র একজনকেই হাসতে হচ্ছে বিজয়ীর হাসি। তবে ব্যালন ডি’অর পূর্ববর্তী যত জরিপ আর সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে, সবগুলোতেই জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম।
রোনালদো গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিসহ রিয়াল মাদ্রিদকে উপহার দিয়েছেন মোট চারটি শিরোপা।
বছরের সর্বোচ্চ ৬১টি গোল করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লীগের এক মৌসমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এবার পেয়েছেন উয়েফা প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার, লা-লিগা প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু।
এছাড়াও রিয়ালের ল্যা দ্যাসিমা জয়ের ভুমিকাও আছে সি আর সেভেনের। বিশ্বকাপে অর্জন বলতে তেমন কিছু না থাকলেও, ক্লাব ফুটবলে সারা বছর দুর্দান্ত ফর্মে থাকার কারণেই তাকে বেছে নিচ্ছেন ভক্তরা।
অন্যদিকে, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে আনার পেছনে মূল অবদান ছিল লিওনেল মেসির। এমন দাবী এমএলটেন ভক্তদের। তারা আশা করছেন, এ কারণে মেসিই পাবেন ব্যালন ডি’অর। এই বছরে মেসির অর্জন ছিল ওয়ার্ল্ড কাপ গোল্ডেন বল। কিন্তু আর্জেন্টিনা প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ক্লাব ফুটবলে পুরো বছর মোটামুটি ফ্লপ থাকায় বার্সা বর্ষসেরা পুরষ্কার হাত ছাড়া করেন তিনি। বার্সা বর্ষসেরা হন মাচ্যুরেনো।
বাকি আছেন, জার্মানির ম্যানুয়েল ন্যায়ার। মিশেল প্লাতিনি, হোসে মরিনহো, লুই ফন গাল থেকে বিখ্যাত ফুটবল বোদ্ধারা তার পক্ষ নিলেও ন্যায়ার নিজেই জানিয়েছেন, মেসি-রোনালদোর যে জনপ্রিয়তা; সে তুলনায় তিনি নিজে কিছুই না। তাই, তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখের এ গোলরক্ষক।
ন্যায়ার এবছর বায়ার্নের বর্ষসেরা নির্বাচিত হলেও জার্মান বর্ষসেরা পুরস্কার ওঠেছে টনি ক্রুজের হাতে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*