সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৮ ফেব্রুয়ারী || কেউ থাকেন অট্টালিকায় আবার কেউ থাকেন কুঁড়ে ঘরে। আর যারা কুঁড়ে ঘরে থাকেন তাদের দিকে নজর দেওয়ার জন্য কেউই থাকেনা। কুঁড়ে ঘরের যারা থাকেন না সরকার না বিত্তশালী লোকেরা। আর তাদের পরিচয় একটাই তারা গরিব। বিগত সরকারের আমলে কিছুই পায়নি তারা। বর্তমানে বর্তমান সরকারের উপরও হাল ছেড়ে দিয়েছে তারা। কারণ একটাই, তারা গরীব। এই পরিবারটি গরীব হলেও প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করলেও এপিএল কার্ড ছাড়া ভাগ্যে জোটেনি কিছুই। দীর্ঘ প্রায় কয়েক দশক ধরে বাম জমানায় বিরোধী দলের সমর্থক হওয়াতে খেসারত দিতে হয়েছে এই পরিবারকে। বর্তমানে বিজিপি আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও এই পরিবারটির ভাগ্যে জোটেনি সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা। তেলিয়ামুড়া শহর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে আঠারোমুড়া পাহাড়ের ৪১ মাইলস এলাকা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে থাকা পরিমল দেববর্মণ সহ পত্নী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস। বাম আমলে বিরোধী দল করার সুবাদে ভাগ্যে কিছু জোটে নি পরিমল দেববর্মার। সে সময় সরকারিভাবে গরীব হলেও রেশন কার্ড এপিএল। সেসময় বামফ্রন্ট সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সরকারের কাছে সরকারি একটি ঘর, কর্মসংস্থানের জন্য একটি কাজ, এমনকি সংসার পরিচালনার জন্য সরকারি কাজের আর্জি বহুবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো সাহায্য করা হয়নি সেই পরিবারটিকে। বিপিএল রেশন কার্ডের যোগ্যতা থাকলেও পাইনি বিপিএল রেশন কার্ড। তৎসময়ে রাবার চাষের উপযুক্ত জমি থাকলেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে সেই পরিবারটিকে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পড়েও তার ভাগ্যে জোটেনি রাবারের পরিবর্তে সুপারি বাগান। সরকারিভাবে কোনো সাহায্য না পেয়ে হত দরিদ্রের মতন দিন গুজরান করে যাচ্ছে পরিমল দেববর্মা।