খোয়াই জেলায় ১৯শে জুন পর্যন্ত জারি করা হল নাইট কারফিউ, আগাম বার্তা ছাড়া বাজারে হুট করে প্রশাসনিক বাঁধাদানে বেকায়দায় ব্যবসায়ী সহ ক্রেতারা

গোপাল সিং, খোয়াই, ১২ জুন || খোয়াই জেলার বেশ কিছু শহর এলাকায় ফের জারি করা হলো নাইট কারফিউ। ১২ই জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ১৯শে জুন ভোর ৫টা পর্যন্ত এই বলবৎ থাকবে এই নাইট কারফিউ। ১২ই জুন খোয়াই জেলা প্রাশাসনের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে খোয়াই জেলার খোয়াই পৌর পরিষদ, তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ, খোয়াই আর ডি ব্লক এবং কল্যাণপুর আর ডি ব্লক এলাকায় এই নাইট কারফিউ জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, সরকারীভাবে ১১ই জুন থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা ব্যতীত করোনা কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল। একইভাবে খোয়াই জেলাতেও স্বাভাবিক হয়ে উঠে জনজীবন। ১১ই জুন অবাধে চলাফেরা শুরু করেছিল জনগণ। যথারীতি নিয়ম-নির্দেশিকা মেনে খোয়াইতেও দোকানপাট খোলা ছিল সকাল থেকে রাত অবধি। প্রশাসনিকভাবেও কোনো বাঁধাদান করা হয়নি। কিন্তু আজ অর্থাৎ ১২ই জুন দিনভর স্বাভাবিক নিয়মে চলছিল বাজার হাট। ক্রেতা-বিক্রেতারা নিজস্ব ছন্দে বাজার হাটে শামিল হন। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাও পসরা সাজিয়ে বসে। ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে থাকে। দিনভর খোয়াই জেলা প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাদ সাধে প্রশাসন। বাজার হাট যখন চরমে, ঠিক তখনই পুলিশ প্রশাসন সুভাষপার্ক বাজারে অনেকটা বলপূর্বক দোকানীদের তাড়িয়ে দিতে থাকেন বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। অথচ খোয়াই জেলা প্রশাসন থেকে কেন আগাম কোন প্রচার বা মাইক যোগে এই বিধিনিষেধ এর কথা জনগণকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ জনগণের। এই অনভিপ্রেত ঘটনার জেরে দূর দূরান্ত থেকে আসা দোকানীরা বা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা সুভাষপার্ক বাজারে এসে সমস্যায় পড়ে যান বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে জনগণের একটাই অভিযোগ, কেন স্থানীয় প্রশাসন আগাম বার্তা দেয়নি। শুধুমাত্র প্রশাসনিকস্তরে নোটিফিকেশন জারি করে কেন এভাবে জনগণকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে? প্রশ্ন জনগণের। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,  আগাম বার্তা না দেওয়ায় বড়সর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন ছোট বড়ো সমস্ত অংশের ব্যবসায়ীরা।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*