সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১২ জুন || কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষিকে ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রকমারি ফসলাদি এলাকায় প্রতিনিয়ত চাষাবাদ করা হয়। বলা যায় এলাকার রকমারি সবজি স্থানীয় কল্যাণপুর, তেলিয়ামুড়া, মোহরছড়া বাজার হয়ে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামের বেশকিছু কৃষক বর্ষার কাঁচা লঙ্কা চাষ করেছিলেন। এখন কাঁচা লঙ্কা চাষের মরশুম অর্থাৎ বাজারে নিয়ে গিয়ে ভালো মূল্য পাওয়ার কথা। করোনাকালীন সময়ে কৃষকরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন কাঁচা লঙ্কা বাজারে বিক্রি করে ভালো অর্থের মুখ দেখবেন, কিন্তু বাধ সাধল অজানা রোগের আতঙ্ক। কৃষকদের ভাষায় যে গাছ গুলো এখন ভালো পরিমাণে ফলন দেওয়ার কথা ছিল, সেই গাছগুলো হঠাৎ করে কুঁকড়ে যাওয়ায় হেক্টরের পর হেক্টর কাঁচা লঙ্কা ক্ষেত প্রায় ফলনহীণ। দিশেহারা কৃষক সমাজ। এরকম একজন কৃষক রানু চন্দ্র পাল, তিনি ‘নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম’ প্রতিনিধিকে পেয়ে ঘটনার ইতিবৃত্তান্ত বলতে গিয়ে জানালেন, গাছগুলোর এরকম মরণদশা দেখে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করেও গাছগুলোকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ একটার পর একটা কাঁচা লঙ্কা ক্ষেত প্রায় ধ্বংসের মুখে। উনি সরাসরি বললেন, কৃষি দপ্তরের কর্মীরা নিজ থেকে মাঠে আসেন না, উনাদের কিছু বলা হলে একাংশ অফিসকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করেন।
সে যাই হোক গ্রামীণ অর্থনীতির দৃঢ় বিকাশের স্বার্থে ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়া কাঁচা লঙ্কা ক্ষেতগুলিকে রক্ষা করতে কৃষি দপ্তরের অগ্রণী ভূমিকা দাবি করছেন কৃষক থেকে শুরু করে সবাই। আমাদের বিশ্বাস বর্তমান সময়ে যখন রাজ্য সরকার নানাভাবে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দপ্তর যদি অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে বাকি যে কাঁচা লঙ্কা ক্ষেত গুলি রয়েছে যে গুলোর মধ্যে অজানা রোগের সংক্রমণ ঘটেনি, সেই ক্কজেত গুলোকে আসন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে।